মানিকগঞ্জ পৌরসভার নারাঙ্গাই এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ রাশেদুল ইসলাম (৪৫) মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকালে নিহত রাশেদুল ইসলামের বড় ভাই মো. রসুলদী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। এদিকে নিহতের দগ্ধ স্ত্রী ও শিশুসন্তানের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে স্বজনদের জানিয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এর আগে মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার নারাঙ্গাই এলাকার মো. মাহতাবের বাড়ির নিচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তি আবুল রাশেদ ৬ থেকে ৭ দিনে আগে তার স্ত্রী ও ২ বছরের শিশুকে নিয়ে মাতাবের বাসায়র নিচতলার এক রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন।
আবুল রাশেদের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্লা গ্রামে। সে সিরাজুল ইসলামের ছেলে। রাশেদ বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় মাংস ব্যবসায়ী।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধ চারজনের একজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে পরিবারের কাছ থেকে জেনেছি।
নিহত রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী জানায়, গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় ছোট ভাই, তার বউ ও ভাতিজাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় গতকাল বিকেলে ভাইকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসকরা ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাইয়ের বউ ও ভাতিজাকেও আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ফারুক হোসেন বলেন, তিতাস গ্যাসের লাইনে গ্যাস না থাকায় গত সোমবার সংযোগ চালু রেখেই সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার ভোরে কক্ষের ভেতর উৎকট গন্ধ ছড়ালেও আমরা তা বুঝতে পারিনি। দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার স্টেশন লিডার বশির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখতে পায় অগ্নিকাণ্ডের কারণে রুমের এক পাশের ওয়াল ধস ও দরজা এবং ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র আগুনে পুরে গেছে।
তিনি বলেন, প্রথমিক ভাবে দারনা করা যাচ্ছে রুমের ভিতরে গ্যাস আটকা থাকার কারনে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে তদন্ত করে বলা যাবে কি কারনে আগুন লেগেছে।