ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে করে সর্বস্ব আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক স্বামী জালালের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করায় থাকে তালাক দেয় প্রতারক জালাল। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ৩০ (অক্টোবর) রবিবার পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই নারী। পাশাপাশি থানাও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মাসুদ আলী ছেলে জালাল উদ্দিন (৩৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলার বীর বেতাগৈর ইউনিয়নের আত্মারামপুর গ্রামের হাসমত আলীর মেয়ে শিল্পী আক্তার (২৯) এর সাথে প্রায় ১২ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর অভাবের সংসারে একটু সুখের আশায় স্বামী কে নিয়ে পারি জমায় গাজীপুরের টঙ্গিতে। সেখানে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেয় শিল্পী। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শিল্পীর চাকুরীর টাকায় ভালই চলছিল তাদের সংসার। সংসারের হাল ধরতে বেকার স্বামীকে কাজে ফেরাতে চেষ্টা করে শিল্পী। বিভিন্ন ফ্যাক্টোরিতে স্বামী কে চাকুরি দিলে সেই চাকুরী ছেড়ে দেয় অলস জালাল।
কোন উপায় না পেয়ে জীবনের উপার্জিত সমস্ত টাকা এবং সমিতি থেকে ঋণ তুলে স্বামীকে দু’টো ইজিবাইক বাইক কিনে দেয় শিল্পী। ইজিবাইক থেকে উপার্জিত অর্থে মোড় ঘুরে যায় শিল্পী ও জালালের সংসারের। কিন্তু বাজে মেয়েদের নিয়ে ফূর্তি করে বেড়ায় জালাল। তারপর থেকে চাকুরীর বেতনের টাকা ও ইজিবাইক থেকে আসা আয়ের হিসেব চায় শিল্পী। এই হিসাব চাওয়ায় তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে স্ত্রীর জমানো টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করতে শিল্পীকে তালাক দেয় জালাল।
ওই দিকে তালাকের সময় না পেরোতেই জালাল তার প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘরে তুলে। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী আক্তার বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এবং দেনমোহর, ভরণ-পোষণ দাবি করে পারিবারিক আদালতেও আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
সরজমিনে জালালের বাড়িতে গিয়ে জালালকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পিতা মুন্তাজ আলী বলেন, ছেলে বিয়ে করে নতুন বউ ঘরে তুলেছে। আগের বউয়ের সাথে ঝগড়া ঝাটি হওয়ায় তাকে তালাক দিয়েছে। তিনি এর বেশি কিছু জানেন না।
ঈশ্বরগঞ্জ থানারা অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তছিনুর রহমান বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।