পর্যটন খাতের সম্ভাবনাময় আরো এক নতুন মাত্রা যোগ করলো স্বপ্নতরী (জাহাজ)। যেই পার্কের অবস্থান চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহা সড়কের গুচ্ছগ্রামস্থ এলাকায় ডানপাশে অবস্থিত। স্বপ্নতরী জাহাজ ও পার্কটি পর্যটন স্পর্টে পরিণত হল। সকালে বা পড়ন্ত বিকেলে হরেক রকম মানুষের কোলাহলে ভরপুর থাকে। চারপাশে সবুজের অনন্য সমারোহ। উদ্যোক্তাদের দূরদৃষ্টি উন্নত রুচিবোধের কারণে এসব পাহাড়-টিলা এখন দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট। দেশি-বিদেশি পর্যটকরা সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে এসব পর্যটন।
পাহাড়ে দূর থেকে স্বপ্নতরী জাহাজটি দৃষ্টি কেটে নেয় ভ্রমনপিপাসু নরনারীদের। শীতের আগ মুর্হুতে স্থানীয়সহ দুরদুরান্তের পর্যটকদের ভীড় চোখে পড়ার মত। পাহাড়ের চূড়ায় ব্যাতিক্রমী জাহাজ ও শিশুপার্ক নির্মানের মধ্য দিয়ে এলাকাটি গড়ে উঠেছে এক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে।
দেখা যায়, সাগরে ভাসমান একটি জাহাজে যা থাকে তার সবই রাখা হয়েছে এটিতে। দেখতে বেশ চমৎকার বটে। এক থেকে তিন তলা পর্যন্ত ভাসমান জাহাজের আদলে তৈরি করা হয়েছে স্বপ্নতরী জাহাজটি। সত্যিই মনোমুগ্ধকর। স্বপ্নতরী জাহাজটি সমন্বিত উদ্যোগে করা হয়েছে। এছাড়া এই পার্ককে ঘিরে বন্ধুমহলসহ পারিবারিক ট্যুর বা পিকনিকও চলছে বেশ ব্যাপকহারে।
নান্দনিক এ পর্যটন কেন্দ্রের উদ্যোক্তা রামু উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা।
স্থানীয় সচেতন যুবকরা জানান, এটি আমরা (স্থানীয়দের) জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। এখানে প্রতিদিন এলাকারসহ বাহিরের পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। পাহাড়ের চুড়ায় স্বপ্নতরী জাহাজ যেন সম্ভাবনার হাতছানী। চট্রগ্রাম থেকে আসা কজন পর্যটক জানান, কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। সেই সুবাদে মহাসড়কের পাশঘেষে এই জাহাজটি নজর কাটল, যাত্রাপথে থামিয়ে স্বপ্নতরী জাহাজটির সৌন্দয্যে উপভোগ করলাম সবাই। এটি একটি দেখার মত পর্যটন স্পট বলেও মন্তব্য করেন তারা।