৪ বছর ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীম (৮০) শয্যাশায়ী। বড় দুই মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা তাকে দেখাশোনা করছেন। মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীমের জন্য হুইল চেয়ার প্রয়োজন বলে জানতে পারেন কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে একটি হুইল চেয়ার নিয়ে উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যান তিনি।
জানা গেছে, মো. ইব্রাহীমের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। দুই মেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন। বড় মেয়ের স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় তিনি বাবার বাড়িতে থাকছেন। ছেলে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম শয্যাশায়ী হওয়ায় পুরো পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছেন।
হুইল চেয়ার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীম। তিনি বলেন, ৪ বছর ধরে আমি বিছানায়। হুইল চেয়ারের জন্য বের হতে পারি না। এত দিন কেউ কোনো খোঁজখবর নিল না। আজকে ইউএনও স্যার হুইল চেয়ার দিছেন। আমি ও আমার পরিবার ওনার কাছে কৃতজ্ঞ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহীম জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিঞ্চিৎ কষ্ট লাঘবের চেস্টা করেছি আমি। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ও শয্যাশায়ী। একটি হুইল চেয়ার নিয়ে তার বাসায় দেখতে গেলাম।
ফাতিমা সুলতানা আরও বলেন, তিনি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন। খুব দ্রুতই বীর নিবাস নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও তার বাড়ির সামনের রাস্তা ও পুকুরের গাইড ওয়াল নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। যেকোনো প্রয়োজনে পরিবারটির পাশে থাকবো।