বান্দরবানে লিফটে আটকে থাকা এক গৃহকর্মীকে ৫ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে একই ঘটনায় লিফটে আটকে থাকা ভবনের দ্বায়িত্বরত নুরুল আমিন (৫৯) নামে দানোয়ানকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহকর্মী সাবেকুন্নাহার (১৩) বান্দরবানের গোয়ালিয়াখোলা গ্রামে বাসিন্দা। বর্তমানে সে বান্দরবান সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের ছেলে সোহেলের বাসায় কাজ করতেন।
ভবনের বসবাসরত ভাষ্য মতে , বান্দরবান জেলা পরিষদের ইজারাকৃত জায়গায় সাততলা ভবনটি নির্মাণ করে ডেভেলোপার কোম্পানি পেরিস প্যারাডাইস। কিন্তু সেই ভবনে লিফট স্থাপন করলেও দেয়া হয়নি কোন সেন্সর বোর্ড ও ভবনের দরজা। এক তলা হতে ৫ তলার মধ্যে লিফটে দরজা দিয়েছে মাত্র দুটি। সেই লিফটে দরজা না থাকায় ভিতরে আটকে যায় এক গৃহকর্মী ও দারোয়ান। এতে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হলে এলাকার শুরু হয় তোলপাড়। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করলে উদ্ধার কাজে নামে দমকল কর্মীরা। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর দেয়াল ভেঙে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছে ছেলে সোহেলের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন সাবিকুন্নাহার। গতকাল থেকে সেই গৃহকর্মী নিখোঁজ ছিল। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে দুপুরে ভবনের লিফটে ভেতর গৃহকর্মী আটকে থাকা রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায় দারোয়ান। তাকে উদ্ধার করতে গেলে লিফটে আটকে যান তিনি। পরে খবর পেয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে দারোয়ানকে জীবিত উদ্ধার করলেও লিফিটে ভেতর মারা যান গৃহকর্মী সাবিকুন্নাহার।
এ বিষয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, লিফটে আটকে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। দারোয়ানকে আমরা জীবিত উদ্ধার করেছি।
নিয়মনীতি না মেনে লিফট দেয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা হয়েছে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।