× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৫২ এএম

মুন্সীগঞ্জে এক কৃষকসহ বিএনপি’র সহযোগী সংগঠনের ১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত থেকে রোববার (৪ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত থানা-পুলিশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে। এছাড়াও গ্রেফতারে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। একজন কৃষককে গ্রেফতারের পরে ১৫হাজার টাকা দাবী করে ৫৪ ধারায় দেয়ার জন্য সেক্ষেত্রে কৃষকের স্বজনরা টাকা দিতে না পারায় বিষ্ফোরক আইনে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে ভূক্তভোগীর পরিবার।

 অপরদিকে গজারিয়া থানার ৬জনকে নাশকতা মামলায় আটক করলে তাদের আজ ০৫/১২/২০২২ ( গজারিয়া থানার মামলা নং ১(১২)২২)রিমান্ড বাতিল করে সিঃজুডিসিয়াল ৫নং আমলী আদালত মোঃ আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আসামীদেরকে  জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ করে।গজারিয়া থানার রিমান্ড চাওয়া আসামীরা হলো শাহাআলম,ইলিয়াস, সাদ্দাম হোসেন , ইসমাঈল, আঃ খালেক , মিজান । এদের মাঝে আঃ খালেক বয়স্ক রোগী। জেলাজজ কোট বন্ধ থাকার পরেও কোট কাচারীতে জেলার ৬ থানার লোকজনে সয়লাব ।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, মোহন মিয়ার নামে কোন মামলা ছিল না। তাকে শহরে কলেজ এলাকায় বিষ্ফোরণ,গাড়ি ভাঙচুরের মামলা সন্ধিগ্ধ ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫৪ ধারায় মামলা দেয়ার বিষয়ে কথা বলে কেউ টাকা চেয়ে থাকলে সেটা প্রমাণ হলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় দিকে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা এলাকার চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন কৃষক মোহন মিয়া (৫০)। সেখান থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশ। রোববার বিস্ফোক, গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত পাঠায় পুলিশ। চাচাকে জামিনে বের করতে মুন্সীগঞ্জ আদালতে ছুটে যায় মাহফুজা আক্তার।  

মাহফুজা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর চাচার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো মামলা ছিল না। তিনি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত না। কৃষি কাজ করে সংসার চালান। যেখান থেকে তাকে ধরে আনা হয় প্রতিদিন তিনি সেখানে বসেই চা খেতেন। থানা পুলিশকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে ছিলাম তারা ছাড়েনি।

মোহন মিয়ার এক ভাগিনা সাংবাদিকদের বলেন, মামাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পরে, রাতেই তারা থানায় যান। সেখানে পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে মামাকে ছাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেন। পুলিশ জানায়, ছাড়া  যাবে না। তবে ১৫ হাজার টাকা দিলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখানো হবে। সেই টাকা না দেওয়ায় তাকে বিস্ফোরক মামলায় আসামি করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মধ্যে গজারিয়া উপজেলা মৎস্যজী দলের জেষ্ঠ্য সহ সভাপতি আমিরুল ইসলাম, লৌহজং উপজেলার খিদিরপারা ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক শিকদার, যশলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে দুজন মিরকাদিম বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বকুল, আলমগীর, শ্রীনগর থানা এলাকা থেকে পাঁচজন এবং সিরাজদিখান, গজারিয়া থানা এলাকা থেকে ১ জন করে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান,ককটেল বিষ্ফোরণ, ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে গত কয়েকদিনে জেলার ৬ টি উপজেলায় প্রশাসন ও আ.লীগ নাটক সাজিয়ে ৫০০-৬০০ বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এর আগেও  বিএনপি'র কয়েক হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দিয়েছিল পুলিশ ও আ.লীগের লোকজন। ১০ ডিসেম্বরে রাজধানীর গণসমাবেশে নেতাকর্মীরা যেন যেতে না পারে এজন্য এসব মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে। ভয়ে সাধারণ মানুষও আতঙ্কে রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে দলীয় নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেককে আবার গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক ও দলটির জেলার সাবেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ খবর পত্রকে বলেন,আওয়ামী লীগ ও পুলিশ প্রতিটি পাড়ায় , মহল্লায় গিয়ে দিনে রাতে সর্বসময় বিএনপি নেতা কর্মী চিহ্নিত করে আটক করছে। এটা সরকারের ঘৃণিত কাজ । নির্বাচনে আসতে যেমন ভয় পায় তেমনি জনগণকে তাদের আরেক ভয় । কোনভাবেই গণসমাবেশে যাওয়াকে আটকাতে পারবেনা। যেভাবে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, এগুলোর বিচার একদিন হবেই । আমরা নিন্দা জানাচ্ছি এই ধরণের কাজে। সেই সঙ্গে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ কি বোঝে না ? দেশে কি হচ্ছে এই সরকারের আমলে । বিশ্ব মিডিয়া আজ আমাদের বাংলাদেশের রাজনীতি দেখছে আর হাসি ঠাট্টা করছে । আমাদের দেশের মান নিয়ে বহিঃবিশ্ব  সকল বাংলাদেশীদের কাছে প্রশ্ন তুলছে , এই সরকার নিজেরাই কৃতিম সমস্যা সৃষ্টি করছে ।

গ্রেফতার প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, যারা বিশৃঙ্খলা ও নাশকতামুলক কাজ করে বিভিন্ন থানা এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ শুধু তাদেরই গ্রেপ্তার করছে। এ পর্যন্ত যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিটি থানায় বিস্ফোরক,ভাঙচুরের মামলা রয়েছে। নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলবে। এ অভিযানে কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে আটক ও তার নাম মামলায় আনা হলে তদন্ত সাপেক্ষে  মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে। থানায় কোন অফিসার কারোর কাছে ৫৪ ধারা করার কথা বলে টাকা দাবী করে থাকলে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর দরখাস্ত করলে আইনি ব্যাবস্থা নিবো । যে সকল নাশকতা এলাকায় ক্যামেরা আছে তাহা দেখে নাশকতা কারীদের চিহ্নিত করে আইনী ব্যাবস্থারও কথা জানান জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.