ঘটনার চারদিন পার হলেও এখনো আতঙ্কের ছাঁপ কাটেনি ভিকটিম কিশোরী বাকপ্রতিবন্ধী ও তার স্বজনদের মুখে। যে বয়সে সে খেলাধূলা করার কথা সে বয়সে এখন সে লোকলজ্জার ভয়ে ঘরের কোণায় বসে ঢুকরে ঢুকরে কাঁদে। আর অঙ্গিভঙ্গি করে তার উপর ঘটে যাওয়া পাশবিক নির্যাতনের কথা বুঝাতে চান সবাইকে। এ যেন একাত্তরের বর্বরচিত ঘটনাকেও হার মানায়।
১৭ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ভিকটিমের পরিবার। এঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের খলিলের বাড়িতে ভিকটিমের ফুফুর ভাড়া বাসায় গেলো সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এঘটনা ঘটে। এদিকে অভিযুক্তের বাড়িতে বিষয়টি জানতে গেলে তার স্বজনদের কোনো কথা বলতে নিষেধ করেন লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবি হারুনুর রশিদ ব্যাপারী।
অভিযুক্ত মাহাবুবুল আলম শিপুল কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্জ এলাকার বাচ্চুর ছেলে।
ভিকটিমের পরিবার জানায়, মা-বাবা হারানো এতিম মেয়েটি ফুফুর বাড়িতে থাকতো। ফুফু লক্ষ্মীপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে কর্মরত থাকার সুবাধে বাড়িতে ছোট্ট শিশূকে নিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি একা থাকতো। এসুযোগে ভয়ভীতি দেখিয়ে অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছে। ঘটনার দিন ফুফু মারজাহান আক্তার অফিস থেকে জরুরি কাজে বাড়িতে এসে অপ্রীতিকর অবস্থায় শিপুলকে দেখতে পায়। পরে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। বাকপ্রতিবন্ধী এ মেয়েটির সাথে এমন জঘন্য কাজটি করায় ভিকটিমের স্বজন ও এলাকাবাসী শিপুলের বিচার দাবি করেছেন।