ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ৪নং জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং প্রার্থী ও তার স্বজন ও কর্মীদেরকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোল্লা আবুল কালাম আজাদ।
অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোল্লা আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার সকাল ১০টার সময় নৌকা প্রতীক মনোনীত প্রার্থী মো. হোসেনের ছেলে হারুন ও হান্নানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন বহিরাগত লোকজন নিয়ে জিন্নাগড় ৮ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন চকবাজারে আমার আনারস মার্কার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার টেবিল ভাংচুর, ও পোস্টার ছিড়ে ফেলে এবং আমি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে আমাকে খুন-জখমের হুমকি দেয়। আমার কর্মী-সমর্থকদের অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করণসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকরা নিরাপত্তাহীণতায় ভুগতেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নি অফিসারকে লিখিত এবং উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি।
নৌকা প্রতীক মনোনীত প্রার্থী মো. হোসেন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিসে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছি। তদন্ত শেষে নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোরাদ বলেন, অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।