ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার প্রভাবে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আর এই শীত এলেই মনে পড়ে যায় হরেক রকম মুখরোচক পিঠার কথা। সন্ধ্যার আগেই সিরাজগঞ্জ শহরের রাস্তার ধারে পিঠা বানানোর আয়োজন শুরু করে দেন মৌসুমি বিক্রেতারা।
সিরাজগঞ্জ শহর ঘুরে দেখা যায়, সদর থানা মোড়, খলিফা পট্টি, মজিব সড়ক, কালিবাড়ী, চান্দ আলী মোড় ও বাজার স্টেশন এলাকায় গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান।
এসব দোকানে ভাপা, চিতই, তেলের পিঠাসহ নানান বাহারি পিঠা বানানো হচ্ছে। প্রতিটি পিঠা ১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ এসব মৌসুমি পিঠা বিক্রেতাদের বাড়ি অন্য জেলায়।
প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই থেকে তিন হাজার পিঠা বিক্রি করেন তারা।
সদর থানা মোড় এলাকায় ভাপা পিঠা খেতে আসা সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ পড়ুয়া মোকাদ্দেস ইসলাম আপন ও বিজু রাজ জাগো নিউজকে বলেন, মাঝে মধ্যেই শীতের সন্ধ্যায় এখানে এসে পিঠা খাই।
বেশ ভালোই লাগে।শহরের কাঠেরপুল এলাকার মৌসুমি পিঠা বিক্রেতা ফরহাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছরই শীত এলে ভাপা ও চিতই পিঠা বানিয়ে বিক্রি করি। পিঠা বিক্রি করেই আমার সংসার চলে।
শহরের বাজার স্টেশন এলাকার পিঠা বিক্রেতা শেফালি বেওয়া জাগো নিউজকে বলেন, আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। কিন্তু শীতে কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। তাই পিঠা বিক্রি করি।
এ প্রসঙ্গে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর গোলাম আজম চৌধুরী বলেন, রাস্তায় চলার পথে সবার হাতে প্রচুর ময়লা লেগে যায়। সেজন্য পিঠা খাওয়ার আগে আমি ক্রেতাদের হাত ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেই।