লাকসামে বিলুপ্তপ্রায় শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। পৌর শহরের গ্যাস অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শকুনটি উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় কয়েকজন কিশোর জানান, সন্ধ্যায় শকুনটি গ্যাস অফিসের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। পুকুর থেকে উদ্ধার করে প্রথমে এটি থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ তাদেরকে বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। পরে তারা শকুনটি লাকসাম বনবিভাগের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
লাকসাম বন বিভাগের গার্ডেনার আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান জানান, স্থানীয় লোকজন শকুনটি নিয়ে এলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করি। এটি কোটবাড়ি বন এলাকায় অবমুক্ত করা হবে।
এদিকে, খবর পেয়ে পাখিটির চিকিৎসার জন্য ছুটে যান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম রকিবুল হাসান। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পাখিটি পরখ করেন।
ডা. রকিবুল হাসান বলেন, বাংলা শকুন নামে পরিচিত এটি হিমালয়ান প্রজাতির। শীতকালে এগুলো আমাদের দেশে আসে, শীতের শেষে আবার ফিরে যায়। পাখিটি মোটামুটি সুস্থ আছে। খাবার না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাভাবিক হলে অবমুক্ত করা হবে।
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাকৃতিক ঝাড়ুদার খ্যাত শকুন এখন বিলুপ্তির পথে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা ২৬০টি। এটি রেবিশ, অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন রোগজীবাণু হজম করতে পারে। তবে পশুর ব্যথানাশক ডাইক্লোফেনাক, কিটোপ্রোফেন শকুনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই দেশে ডাইক্লোফেনাক উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে। বাজারে বিদ্যমান কিটোপ্রোফেন শেষ হলে আর ব্যবহার হবে না, উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।