× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

তিন ফুট জলডারীর উপর ১৪ ফুট ব্রিজ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৩১ এএম । আপডেটঃ ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৪৬ এএম

জয়পুরহাটে কালাই উপজেলার করিমপুর সন্যাসতলী এলাকায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে জলডারীর উপর অপরিকল্পিত ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার করিমপুর সরগাড়া মাঠে খাড়ীর ওপর নষ্ট ব্রিজ অনুকুলে নতুন ব্রীজের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু বা কালভার্ট প্রকল্প ২০১৮-১৯ এর আওতায় ওই সেতু বা ব্রীজ নির্মাণের বাজেট দেওয়া হয়। তবে ওই ব্রীজ করিমপুর সরগাড়া মাঠে নয়, নিমার্ণ করা হয়েছে সন্যাসতলী এলাকায় ব্যক্তিমালিকানা তিনফুট জলডারীর উপরে ১৪ ফুট ব্রীজ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধায়নে ১২ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮০ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ওই ব্রীজটি উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলে নামফলকে উল্লেখ রয়েছে। 

করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা নাসিরুল মন্ডল, ইমরান সরদার ও আলাল মন্ডলসহ অনেকেই বলেন, ব্রিজের কোনো প্রয়োজন ছিল করিমপুর সরগাড়া মাঠে। ওই সময় বর্ষাকাল, মালামাল নিয়ে যাওয়া সমস্যা দেখিয়ে ছিল ঠিকানাদার প্রতিষ্ঠান। তখন স্থানীয় নেতা ও প্রশাসনের কারসাজি করেই সন্যাসতলীতে ব্যক্তি মালিকানার জমিতে তিন ফুট জলডারীর উপরে ১৪ ফুটের একটি ব্রীজ নিমার্ণ করেন। এখানে ছোট কালভার্ট দিলেও হতো। এই আইল কোনদিনও রাস্তা হবে না। এই ব্রিজ দিয়ে পাওয়ার ট্রিলার, ভ্যান গাড়ি কোনো কিছু চলাচল করতে পারবে না। বরং ব্রিজ দেওয়াতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধায় বেশি হয়েছে। কারণ ব্রিজ খুব উঁচু হইছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান দুলু বলেন, ব্রীজ করার সময় আইলের দু’পাশের জমি দিয়ে রাস্তা করার কথা দিয়েছিল চেয়ারম্যান। তবে ভূমি অধিগ্রহণ নয়, সমন্বয় করে এই রাস্তা করার কথা ছিল। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম মন্ডল বলেন, করিমপুর সরগাড়া মাঠে খালের ওপর নষ্ট ব্রিজ ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে এই ব্রিজটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সন্যাসতলী জলডারীতে রিং পাইপ তুলে দিয়ে ব্রিজ করা হয়। আর প্রজেক্টের স্থান করিমপুর সরগাড়ায় লেখা আছে। এখানে ইউনিয়ন পরিষদের দুই লাখ টাকার ছোট সাঁকো দিলেই হতো। কিন্তু তা না করে ১২ লাখের ওপর টাকায় ব্রিজ করা হয়। আর ওই আইলটি কোনদিন রাস্তা হওয়ার কথা ছিল না, আর হবেও না। আমি মাঠের বড় খালের ওপর ব্রিজটি দিতে বলেছিলাম। ঠিকাদার বা কোনো কর্মকর্তা শোনেনি। বারবার প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি।

জিন্দারপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকাতে থাকায় কোন বক্তব্য বা যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।

কালাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ. দা.) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখতে হবে। ব্রিজ ও রাস্তা প্রয়োজনে হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তা করা হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.