কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইলহাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইয়াসির মিয়ার এক বক্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় বইছে। মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে নিজের মতামত ব্যাক্ত করে দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেইসবুকে। এর পরই আলোচনা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ২১ জানুয়ারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা মানোন্নয়ন নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভার অনুষ্ঠানে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াসির মিয়া তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে বক্তব্য দেন। তাতে তিনি বলেন, ' মাদ্রাসা এখন শিক্ষার বদলে ব্যাবসা। এগুলো এখন বিজনেস হচ্ছে শিক্ষার নামে। মাদ্রাসা থেকে হাফেজি, তফসির পরার পর কি করবে তারা। তাদের ভবিষ্যৎ কি? কিছু করতে না পেরে একসময় জঙ্গী হবে। মাদ্রাসায় কি পরানো হচ্ছে? কুরআন তফসির হাদিস ইত্যাদী। কুরআন হাদিস পড়া ভালো বিষয় তবে, কি পরছি আমরা তা বুঝে পরতে হবে। অর্থ বুঝে পড়তে হবে। না হলে এই শিক্ষা দিয়ে কি হবে আমাদের?।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা ইসলামের সঠিক পথে নেই। বৃটিশরা নিজেদের শাসন টিকিয়ে রাখতে মন মতো শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করেছে। এসব পড়ে একসময় জঙ্গী তৈরি হবে। এবং তা অচিরেই হবে বলে দৃঢ়তার সাথে বলেন।
তিনি আরো বলেন, সকল সুযোগ থাকার পরেও প্রাথমিক স্কুল থেকে ছাত্রদের নিয়ে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসা ছাত্রের সংখ্যা বাড়ছেই। আমরা সচেতন থাকলে এগুলো রোধ করতে পারব। এছাড়াও মাদ্রাসা নিয়ে আরো বক্তব্য দেন তিনি।'
এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই শুরু হয় সমালোচনা। এ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় কুলিয়ারচর আলেম ওলামারা এক প্রতিবাদ সভা করেছেন। এতে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আলেম ওলামারা অংশ নেয়। সভায় উপজেলা চেয়ারম্যানের মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কটুক্তিমুলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এবং অবলম্বে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইয়াসির মিয়া বলেন,' আমি নিজেও কয়েকটি মাদ্রাসার দায়িত্বে আছি৷ মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কটুক্তি বা বিতর্কিত এমন কিছু বলিনি। রাজনৈতিক কোন প্রতিপক্ষ হয়ত বিষয়টি নিয়ে জাল ঘোলা করছ । ভুলবোঝাবুঝি থেকে ছোট বিষয়কে বড় করে দেখা হচ্ছে।'