ফেনীতে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (০১ মার্চ) দুপুরে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. শুভসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।এদের মধ্যে ১২ জনের নাম জানা গেছে।
আহতরা হলেন, সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. শুভ, ইমরান হোসেন, সাইদুল বাশার, মো. স্বপন, মো. মজিব, তন্ময় মজুমদার, আনারুল নাজিম আরাফাত, জাহেদুল ইসলাম, রেদোয়ান আহম্মদ, মো. মনির ও হাবিবুর রহমান।
পুলিশ, ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরের পর ইনস্টিটিউটের শহীদ সাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের সামনে পুকুরপাড়ে ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ওই দুজনের একজনের পক্ষ নেন ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও অপরজনের পক্ষ নেন সাধারণ সম্পাদক পক্ষের সহসভাপতি শুভ।
একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর সভাপতি পক্ষের ও সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের সমর্থকেরা জড়ো হলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে হাবিবুর ও মো. শুভ ছাড়াও ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক রেদওয়ান আহমেদসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে ৯জনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কিছুদিন থেকে ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
বুধবার সম্পাদকের পক্ষ র্যাগিং করার কথা বলছিল। সভাপতির পক্ষ নিষেধ করে। এ নিয়েই ঝগড়া ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল।
খবর পেয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক নুর করিম জাবেদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
শহীদ সাহাব উদ্দিন ছাত্রাবাসের সুপার আক্তারুজ্জামান জানান, শিক্ষকেরা সবাই পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি দুপুরে ছাত্রাবাসসংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে দুই পক্ষের ঝগড়ার কথা শুনেছেন।
ইনস্টিটিউট অধ্যক্ষ প্রকৌশলী প্রদীপ্ত খীসা জানান, দুই পক্ষের মারামারির সময় তিনি বাসায় ছিলেন। প্রকৃত ঘটনা জানতে দুই শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তপু জানান, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ঘটনা শুনে তিনি পুলিশ পাঠিয়েছেন। তবে মারামারির বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।