আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের খেজুরটেক এলাকায় বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্থায়নে নির্মিত আস্থা নীড় প্রকল্পের ১৫টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। সেনাবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় দেশে ও জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালনকালে জীবন উৎসর্গকারী সেনাদের পরিবারের মাঝে এসব ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুণীদের গুণগান না গাইলে গুনী তৈরি হয় না। যে বীররা আমাদের জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন তাদেরকে আমাদের মনে রাখতে হবে। সেনাবাহিনী চাকরি এমন যাকে আমরা চাকরি বলি না। এটাকে আমরা বলি জীবন যাত্রা। সেনাবাহিনীতে আমরা যখন যোগদান করি আমরা জীবন উৎসর্গ করার ব্রত নিয়েই যোগদান করি।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, দেশের জন্য ও আমাদের অর্গানাইজেশনের জন্য যারা প্রাণ উৎসর্গ করবে তাদের জন্য অবশ্যই আমাদের কিছু করতে হবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি যেভাবে পারি আমাদের সীমাবদ্ধতার ভেতর থেকেও কর্তব্যরত অবস্থায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার। সেখানে আজ একটা নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আমরা আজ ১৫ পরিবারকে সারাজীবনের জন্য একটা করে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে পারলাম।

শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, যিনি শহীদ হয়েছেন তিনি আর চলে আসবেন না। আমরা চাই তার পরিবার যেন সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে, তার সন্তানরা যেন পড়ালেখা করে মানুষ হতে পারে। একইসঙ্গে তাদের সন্তানরা যেন ভবিষ্যতে তার পিতার অর্জনকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমন একটা কাজ করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আশা করছি আমরা ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে পারব।

এর আগে সেনাপ্রধান সাভারের বাইপাইল এলাকায় অবস্থিত বিএনসিসি একাডেমিতে বিএনসিসির সেন্ট্রাল ক্যাম্পিং ২০২২-২৩ এর সমপানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট ও রেজিমেন্টের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণে সেনা, নৌ ও বিমান শাখার সর্বমোট ৬০০ জন্য ক্যাডেট অংশ নেন। তাদের ড্রিল, অস্ত্র প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সামরিক ও অসামরিক বিষয়াবলীর ওপরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।