টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের ছলিমনগর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এইচ এস ব্রিকস ম্যানুফ্যাচার্স নামের ইটভাটা। ইটভাটাটি ২০১৭ সালে ৫ জন মিলে শেয়ারে তৈরি করেন।
২০১৭-২০২৩ সাল পর্যন্ত ইটভাটার দায়িত্ব পালন করেন হাজী সুলতান আলী।কিন্তু তিনি বাকি শেয়ারহোল্ডারদের ৬ বছরের মধ্যে কোন হিসাব বুঝিয়ে দেন নাই বলে অভিযোগ করেন সোবহান মিয়া নামের এক শেয়ারহোল্ডার।সোবহান মিয়া বলেন,যখনি আমরা হিসাব চাই তখনি সুলতান আলী তালবাহানা করেন।আমাদের কোন হিসাব দেন না।হিসাব চাইতে গেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নানান ভাবে হুমকি দেন।এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি।
এ নিয়ে সোবহান মিয়া বাদী হয়ে হাজী সুলতান মিয়াকে বিবাদী করে টাঙ্গাইল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।
শেয়ারহোল্ডারগণ হলেন, ১. মো. হাজী সুলতান আলী (৬০) ৬০%,পিতা: মৃত মিজানুর রহমান সাং:- চানপুর ২. সোবহান মিয়া (৪০) ১০%, পিতা: আ. জলিল ৩. মো. হযরত আলী ১০%, পিতা: মৃত আ. জলিল ৪. বদর উদ্দিন ১০%, পিতা: মৃত আ. মজিদ ৫. আব্দুর রাজ্জাক ১০%, পিতা: মৃত আ. মজিদ সর্ব সাং :- ছলিমনগর,মির্জাপুর টাঙ্গাইল।
মামলার বিবাদী হাজী সুলতান আলী বলেন, ভাটা শুরু করার পর থেকে সম্মিলিত ভাবেই তিন বছর চলেছে। আমার ছেলে ইউপি নির্বাচন করল তাই সময় না পাওয়াতে ভাটার দায়িত্ব সোবহান আর বদুর কাছে ছেড়ে দিলাম। ওরা দুই বছর চালালো সেখানে সাত লক্ষ ইট, ছাব্বিশ লক্ষ টাকার হিসাব আমাকে ওরা দেয় নি। উল্টো আমার নামে মামলা দিচ্ছে, ঝামেলা করছে।
বাদীসহ আরো ৩ জন শেয়ারহোল্ডারগন বলেন, ৬ বছরে আমাদের কোন হিসাব বুঝিয়ে দেয় নি বলে আমরা মামলা করেছি।হিসাব চাইতে গেলেই আমাদের হুমকি দেন।তারা আরো বলেন, হাজী সুলতান আলীর ছেলে লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনি এবার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছে।তাই তারা অনেক ক্ষমতা দেখায়।আমরা কোন উপায় না পেয়ে মামলা করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা সিকদার বলেন,আমি এ বিষয়ে জানি যে,মামলার বাদী সোবহান মিয়ারা লভ্যাংশের টাকা পাবে।এ নিয়ে আমরা ঘরোয়াভাবেও বসেছি।তাতেও প্রমান হয়েছে যে,সোবহান মিয়ারা টাকা পাবে।তবে কিজন্য হাজী সুলতান আলী তাদের হিসাব বুঝিয়ে দিচ্ছে না তা বলতে পারবনা।
মামলার বিবাদী হাজী সুলতান আলীর ছেলে লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন রনির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।