× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শুকিয়ে গেছে তিস্তা, বিপাকে জেলেরা

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

০৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৩ এএম

শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ না থাকায় প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়েছে তিস্তা নদী।এখন এটি পুরোদস্তুর বালু চর। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলাসহ বাংলাদেশ অংশে তিস্তার ১২০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরে জীবিকা করা শত শত জেলে এখন বেকার। উপার্জনের একমাত্র পথ বন্ধ হওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

মৎস্যজীবীরা বলছেন, তিস্তা নদীতে আমাদের জীবিকা। এখন তিস্তা শুকিয়ে গেছে। চারপাশে শুধু বালু আর বালু। যে অল্প অংশে পানি আছে তাতেও মিলছে না মাছ। আমাদের এখন দুইবেলা খাবারের ব্যবস্থাই হচ্ছে না।সরকারি কোনো অনুদানও পাননা তারা। 
সরজমিনে দেখা যায়, পানি নেই তিস্তায়। মাইলের পর মাইল ধু-ধ বালুচর।নদীর উজানে সামান্য কিছু পানি থাকলেও তা খন্ডে খণ্ডে প্রবাহিত হচ্ছে। কোথাও রয়েছে হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত। 
তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট বন্ধ করে পানি নেয়া হচ্ছে সেচ ক্যানেলে। তাই ব্যারেজের ভাটিতে সামান্য যে অংশে চোয়ানো পানি আসে তাতেই জাল ফেলে মাছের জন্য অপেক্ষা করছেন জেলেরা।
তিস্তা ব্যারাজের নিচে ভাটির দিকে ছোট নৌকায় চড়ে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন রজব আলী । তিনি বলেন, মাছ ধরে এখন আর সংসার চলে না।  জমিজমা আগে যা ছিল সব তিস্তার বুকে বিলীন হয়ে গেছে। চাষাবাদের জমি এমনকি নিজের ভিটাটুকুও নেই। থাকেন অন্যের জায়গায়। তিনি জানান, তিস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা বারবার জাল ফেলেও মাছ উঠছে না। ৬ সদস্যের পরিবারে তার আয় দিয়ে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলছে।
বাইশপুকুর গ্রামের জেলে রফিকুল ইসলাম জানান, আগের দিন সন্ধ্যা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত দুইজন মিলে মাছ ধরেছেন হাফ কেজির একটু বেশি হবে। দাম দুইশ'র বেশি হবে না। তা বিক্রি করেই কিনতে হবে চাল। দুই ছেলেমেয়েকে আবার স্কুলে দিছি। খরচ জোগানো খুবই কষ্ট হচ্ছে ।
তিস্তাপারের বাসিন্দারা বলেন, নদীতে পানি নেই মাছ আর থাকবে কোনখানে। ৪ মাস পানি থাকে, আর ৮ মাস এভাবে শুকনা থাকে নদী। বর্ষার সময় বেশ ভালোই মাছ ধরা পরে। এখন নদীতে পানি নেই, মাছও নেই। নদী নাব্যতা হারোনোয় অনেকেই বদলেছেন পেশা।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেড মোজাফফর ইসলাম  বলেন, ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করায় আজ তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশ মরুভূমিতে রুপ নিয়েছে।
তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৭০ কিলোমিটার উজানে হিমালয় থেকে নেমে আসা পানি এক তরফা ব্যাবহার করছে ভারত। তাদের প্রয়োজন মেটানোর পর উদ্বৃত্ত পানিটুকু পাচ্ছে বাংলাদেশ।তিনি বলেন, নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া গেলেই কেবল স্বরূপে ফিরতে পারে তিস্তা।এছাড়া তিস্তা পাড়ের শ্রমজীবী মানুষদের বাঁচাতে হলে দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের করতে হবে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ দিন দিন কমে যাওয়ায় জেলে ও মাঝিরা পেশা বদল করে অন্য পেশায় যাচ্ছেন।উত্তরাঞ্চলের জেলেদের জন্য বরাদ্দ না থাকায় দেয়া যাচ্ছে না অর্থসহায়তা। 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.