× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পাবনায় শিশুর ক্যানোলা খোলার সময় আঙুল কেটে ফেলার অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি

০৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৭ এএম

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২৩ দিনের শিশুর ক্যানোলা খোলার সময় হাতের আঙুল কেটে ফেলার  অভিযোগ উঠেছে হাসপাতেলের এক আয়ার বিরুদ্ধে৷ এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশুটির পরিবারের স্বজনরা। এ ঘটনায় ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে প্রকাশ পায়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিশুর নাম মিষ্টি পাল। বাবার নাম চন্দন পাল। বাড়ি জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ গ্রামে। অভিযুক্ত আয়ার নাম আঞ্জুয়ারা খাতুন বলে জানা গেছে। তার বাড়ি সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকায়। 

শিশুর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত কারনে ২৪ দিনের নবজাতককে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওর্য়াডে শিশু কন্যা মিষ্টি পালকে ভর্তি করেন বাবা চন্দন পাল। ২ মার্চ সকালে শিশুটির শারিরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সেদিন দুপুরে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল এমন সময় নার্সের বদলে শিশুটির হাতে লাগানো ক্যানোলা খুলতে যান আঞ্জুয়ারা খাতুন নামে একজন আয়া। তখনি বাধে বিপত্তি। কাঁচি দিয়ে ক্যানোলা কাটতে গিয়ে শিশুটির ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙুলের নখের অগ্রভাগ কেটে ফেলেন আয়া।’ 

তখন শিশুটির চিৎকারে ছুটে আসেন পাশের অন্য রোগীরা। তখন সুযোগ বুঝে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত আয়া। নার্সের কাজ কীভাবে একজন আয়া করল এমন প্রশ্ন তোলের অন্য রোগীর স্বজনেরা। একজনের ভুলে একটি শিশুর অঙ্গহানি মেনে নিতে পারছে না অনেকেই। 

শিশুটির বাবা চন্দন পাল বলেন, ক্যানোলা খোলার জন্য নার্সকে ডাকাডাকি করলে সেখানকর আয়া এসে ক্যানোলা খুলে দেয়। ক্যানোলা না খোলার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও শোনেনি কথা। এই ওয়ার্ডের অন্য রোগীর আত্মীয়স্বজনও বিষয়টি নিষেধ করেন। আমাদের মেয়েটির ভবিষ্যতে নষ্ট হয়ে গেলো এর বিচার কে করবে? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

ঘটনার পর অভিযুক্ত আয়া আঞ্জুয়ারা খাতুন পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এবিষয়ে ২৫০ শষ্যার পাবনা জেনারেল  হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীর বলেন, এ ধরণের একটি কথা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্দু বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে পুলিশ কাজ করছে। দোষী সাব্যস্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাতের তিনটি আঙুল হারায় ১৩ মাস বয়সী শিশু তাছিম।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.