মাছের অভয়াশ্রম সুরক্ষায় সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় অঞ্চল ও মোংলা উপকূলীয় নদ নদীতে অভিযান পরিচালনা করেছে কোস্টগার্ড।
রোববার (১২মার্চ ) সকালে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদর দপ্তর দিগরাজ থেকে অভিযান শুরু করে কোস্টগার্ডের একটি ইউনিট। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ।
সূত্র জানায়, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তার এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে চোরাকারবারী, পাঁচারকারী, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া, পেইন্ট, জেলিপুশকৃত চিংড়ি, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা, কচ্ছপ, কাঁকড়া, অবৈধ বোট ও অবৈধ জাল আটকসহ বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এর পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে অবৈধভাবে আহরিত জাটকা, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা ইত্যাদির সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গকে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ডের ভূমিকা অসামান্য। সুন্দরবনের অভয়ারণ্য সমূহ যাতে অবাধে মাছ না ধরতে পারে সেজন্য নিয়মিতভাবে রুটিন টহল ও বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ অভিযানে নেমেছে কোস্ট গার্ড।
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ জানান, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় একটি বেইস ও ১৪ টি স্টেশন নিয়ে পরিচালিত হয় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কার্যক্রম। এ বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারনে সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যক্রম অনেকাংশে কমে গেছে। মাদকের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ করে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।