মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক আব্দুল মান্নানের গাড়িতে চেয়ার ঠেকানোর অভিযোগে মাহিমা আক্তার রিমি নামে তৃতীয় শ্রেনীর এক ছত্রীকে গলা টপে ধরে শুণ্যে উচু করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত চার দিন আগে এমন ঘটনা ঘটলেও বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এমন অভিযোগ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দাবি তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মাহিমা আক্তার রিমি বলেন, গত বুধবার সকালে স্কুলের শহিদ মিনারের পাশে আব্দুল মান্নান স্যারের গাড়ি ছিলো। সেখানে এটি চেয়ারে বসে ছিলাম। চেয়ারটি অসাবধানতা বশত গাড়িতে ঠেকে। সেসময় স্যার এসে আমার গলা চেপে ধরে শুন্যে উচু করে তুলে ফেলে। আমি গলায় প্রচন্ড ব্যাথা পায়। এ সময় আমি কন্না কাটি করলে স্যার আমাকে চেয়ার তুলে মারতে যায়। বিষয়টা আমি স্যারদেরসহ হেড স্যারকে জানায়। কিন্তু কেই কিছু করেনি।
রিমির মা বলেন, আমার মেয়ে অন্যায় করলে তার বিচার হবে। তায় বলে এ ভাবে নির্যাতন করা মেনে নেওয়া যায়না। বিষয়টি শোনার পর আমি শ্রেনী শিক্ষককে মোবাইল করে জানিয়েছি। যদি কোন বিহিত না পায় তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক নুরুজ্জামান বলেন এমন ঘটনা তদন্ত সহ বিচার হওয়া উচিত। গত চার দিনে এর কোন ব্যবস্থা নেইনি বিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা আমাদের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্¦িগ্ন।
রিমির কয়েক জন সহপাঠি বলেন, রিমি চেয়ারে বসে ছিলো স্যার এসে তার গলা দুই হাত দিয়ে ধরে উচু করে তুলে ফেলে। আমরা ভয়ে সবাই পালিয়ে যায়।
সহকারি শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ঘটনা সঠিক নয়। সে দুষ্টমি করছিলো তাই তাকে একটু শাসন করেছি মাত্র। আর এ বিষয়ে কারোও কোন অভিযোগ নেই। এ সময় তিনি শিক্ষক ছাত্রদের বেত মারছে এমন একটা ছবি দেখিয়ে বলেন আমাদের আগের দিনে ফিরে যেতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুরজ্জামান বলেন, এ ধরণের ঘটনা বিদ্যালয়ের কেউ আমাকে এখনও জানাইনি। তবে আমি আল্প অল্প শুনেছি। এমন ঘটনা ঘটলে বিষয়টি দু:খ জনক।