× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ফেনীর ৬ সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্রের সেবা পাচ্ছে না রোগীরা

ফেনী প্রতিনিধি

১৯ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৭ এএম

ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়া জেলার বাকি ছয়টি সরকারি হাসপাতালে টেকনালজিস্টের অভাবে বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি টাকার এক্স-রে যন্ত্রের সেবা পাচ্ছে না রোগীরা ।

বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা উপজেলায় কোটি টাকার এক্স-রে যন্ত্র।

জেলার মহিপালে অবস্থিত ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টার ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালেও এক্স-রে করা হয় না ১৬ বছর ধরে। হাসপাতালগুলোয় কোটি টাকা দামের নতুন এক্স-রে যন্ত্র সরবরাহ করা হলেও দক্ষ লোকবলের অভাবে সেগুলো স্থাপন (ইনস্টল) করা যাচ্ছে না।

সোনাগাজী, ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বছরের পর বছর ধরে রোগীরা এক্স-রে সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি এক্স-রে যন্ত্র থাকলেও ১১ বছর ধরে এসব মেশিনের সেবা পাচ্ছে না রোগীরা।

এ উপজেলায় ২০১৬ সালে ৩০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। সেটি স্থাপন করা হলেও চালানোর জন্য দক্ষ লোক নেই। এরপর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন সিমেন্স কোম্পানির আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র সেখানে পাঠানো হয়, তা এখনো স্থাপন করা হয়নি।

একই অবস্থা পরশুরাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট হয় ২০১৬ সালে। সেটি মেরামত না করেই ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। কিন্তু যন্ত্রটি স্থাপন করার মতো দক্ষ লোক না থাকায় সেটিও বাক্সবন্দী পড়ে আছে।

দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০১৩ সাল থেকে এক্স-রে করা হয় না। ২০২১ সালের ২ মার্চ ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন ফিলিপস কোম্পানির একটি ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র দেয়া হয়। কিন্তু জনবলের অভাবে স্থাপন না হওয়ায় তা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

২০১৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাগাজী উপজেলায় নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র বরাদ্দ দেয়। তবে তা চালু করার জন্য আজও কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনালেজিস্ট মাহবুব আলম বলেন, ২০০৭ সালে জানে আলম ও ২০১৩ সালে মাহবুব আলম নামের দুজন এক্স-রে টেকনালজিস্ট হাসপাতালে যোগ দেন। কিন্তু এক্স-রে যন্ত্র বিকল হওয়ায় দু-এক মাস পর তারা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান।

একই অবস্থা ফুলগাজী উপজেলায়ও।প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে কোনো মেডিকেল টেকনালেজিস্ট নেই। দাগনভূঞা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এক্স-রে করার মতো লোক নেই ২০০৮ সাল থেকে।

সরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান জেলার মহিপাল এলাকার ২০ শয্যার ট্রমা সেন্টারে ১৫ বছর ও ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ১০ বছর ধরে টেকনালেজিস্ট নেই। এ কারণে এসব হাসপাতালেও এক্স-রে হয় না।

ফেনীর সিভিল ডা.মো: শিহাব উদ্দিন  বলেন, ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র স্থাপন ও পরিচালনার প্রশিক্ষণ নেই স্বাস্থ্যকর্মীদের। জনবল নিয়োগ ছাড়া এক্স-রে সেবা দেয়া সম্ভব নয়। নিয়োগের ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন। যদি অনুমোদন পাই, তাহলে নিয়োগের মাধ্যমে সেবা আরও ভালোভাবে দেয়া যাবে।

থ্রি আই মার্চেন্ডাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফেনীতে নতুন ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্রগুলো সরবরাহ করেছে। সেগুলো ইনস্টল করতে ওই প্রতিষ্ঠানকে অনেকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আসেনি।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.