বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু বাতিলের প্রতিবাদে হাতে-গলায় শিকল বেঁধে ও কাফনের কাপড় পরে গত রবিবার (১৯মার্চ) সকালে ৯টায় শহরের সাতমাথায় আবারও অনশন শুরু করেন হুমায়ুন আহম্মেদ রুমেল। পরে একই দিনে বগুড়া সফররত সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বিকেল ৫ টায় বগুড়া সার্কিট হাউজ থেকে বের হওয়ার সময় মন্ত্রী পানি পান করিয়ে তার অনশন ভাঙান।
রুমেল বলেন, প্রতিমন্ত্রী স্নেহভরে আমার সাথে কথা বলেছেন, আমার সব কথা শুনেছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি কথা বলবেন। এজন্য আপাতত অনশন স্থগিত করছি। দাবি আদায় না হলে রোজার মাঝামাঝিতে আবারও অনশনে বসবো।
উল্লেখ্য এর আগে, ৮ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে দীর্ঘ প্রায় ৮০ ঘন্টা পর শহরের সাতমাথায় মুজিবমঞ্চে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে থাকা যুবক হুমায়ুন আহমেদ রুমেল তার কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছিলেন। তখন বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শামীম কামাল ১৮ মার্চের মধ্যে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে এমন আশ্বাসের কথা জানিয়ে রুমেলকে পানি ও জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গান। এসময় বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেএম রউফ, যুবলীগ নেতা মোঃ জহুরুল ইসলাম মানিক, রোকনুজ্জামান রাজন, লিটন রহমান ও ছাত্রনেতা মুকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে হুমায়ুন আহমেদ রুমেল বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার আশ্বাসে ১৮ মার্চ পর্যন্ত আমি আমার অনশন স্থগিত ঘোষণা করেছিলাম। ১৮ তারিখের মধ্যে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসায় আমি আবারও ১৯ মার্চ রবিবার থেকে অনশন শুরু করি। প্রতিমন্ত্রীর আশ^াসে আবারও অনশন ভঙ্গ করলাম। এরপর বগুড়ায় কাজ না হলে আমি ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে আমরণ অনশন শুরু করবো।
এর আগে গত ২ মার্চ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে চিঠি পাঠিয়ে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ভেন্যু বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় বিসিবি। চিঠি দেয়ার পাশাপাশি বগুড়ায় নিয়োগ প্রাপ্ত বিসিবির ১৭ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ক্লোজড করে মিরপুরে রিপোর্ট করতে বলা হয়। একই সঙ্গে কার্গোতে করে ঢাকায় নেয়া হয়েছে গ্রাউন্ড রক্ষণাবেক্ষণের যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে ইনডোরের নেট, ম্যাট সবকিছু।
বিসিবির ভেন্যুর তালিকা থেকে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ হন বগুড়ার ক্রিকেটপ্রেমী ও সাধারণ জনগণ। প্রতিবাদে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ ও সাতমাথায় মানববন্ধন করেছেন বগুড়াবাসী।