রৌমারীতে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। এতে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ৭৪ জন।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন, রোটা ভাইরাস ও ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৭৪ জন বৃদ্ধ ও শিশু। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রায় দুই হাজার রোগী। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব রোগীকে দেওয়া হচ্ছে শুধু স্যালাইন। মিলছে না অন্য ওষুধ।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের উজান ঝগড়ারচর গ্রামের রফিকুল ইসলাম তাঁর ১৬ মাস বয়সী ছেলেকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এখান থেকে শুধু একটি স্যালাইন পেয়েছেন। অন্যান্য ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর এলাকার মাহমুদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে হঠাৎ ডায়রিয়া শুরু হয় তাঁর ২ বছর বয়সী তোফা খাতুনের। পরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ সময় তাঁর মেয়েকে শুধু স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
ডাটিয়ারচর এলাকার গোলজার হোসেনের ২ বছরের মেয়ে সালমাকে ডায়রিয়া আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। গোলজার হোসেনের দাবি, এখানে স্যালাইন ছাড়া অন্য কিছু মেলে না।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন, রোটা ভাইরাস ও ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে; বেশি বেশি তরল খাবার দিতে হবে রোগীদের। এ ছাড়া স্যালাইন খাওয়াতে হবে।