কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাংলা নববর্ষে এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বিগণ একটি বিশেষ পুজা অর্চনা করে থাকেন এবং এ পুজার অংশ হিসাবেই পাঠাবলী অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার ১৬ এপ্রিল পাঠাবলী দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার কটিয়াদী পশ্চিমপাড়া মহামায়া বটতলায় পুজা ও পাঠাবলী দিতে দূর দূরান্ত থেকে পুজারীগণের সমাগম ঘটে। তিনদিন ব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে।
বিশেষ মনোবাসনার জন্য মহামায়া বটতলায় বলীর জন্য মানত হিসাবে পাঠা নিয়ে আসেন। ঠিক কবে থেকে এ পুজা ও পাঠাবলীর রেওয়াজ শুরু হয়েছে তার সঠিক কোন হিসাব না থাকলেও ধারনা করা হয় প্রায় দুশত বছর পূর্বে স্বর্গীয় বৈদ্যনাথ সাহা মহামায়া বটতলায় ১লা বৈশাখে এ পুজা ও পাঠাবলী আয়োজন করেন। প্রাচীন এই বটগাছের নিচেই বাংলা নববর্ষে মহামায়া পুজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
মহামায়া পুজা উপলক্ষে বটতলা ও এর আশপাশ এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের খেলনা, ঘুড়ি, বুট-বাতাসা, সন্দেশ ইত্যাদি পন্যের মেলাও বসে।
জানা যায়, এবছর পাঁচ শতাধিক পাঠাবলি দেওয়া হয়েছে বলে ভক্তরা জানান। মেলা উপলক্ষে অনেকেই এলাকার জামাই আর আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ জানায়। তাই বাড়িতে বাড়িতে খই, মুড়কি, নারকেল আর দুধের নাড়ু বানানো হয়। মেলা থেকে নানা জিনিস কিনে নেওয়া বা খাওয়ার রেওয়াজটিও এখনো ধরে রেখেছেন হিন্দু ধর্মের মানুষেরা।