× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

লক্ষ্মীপুরে জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন

লক্ষীপুর প্রতিনিধি

০৩ মে ২০২৩, ০১:৫৭ এএম । আপডেটঃ ০৩ মে ২০২৩, ০২:২৫ এএম

নোমান-রাকিব জোড়া খুনের ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দেওয়ান ফয়সাল। এ হত্যার ঘটনায় ৮জন অংশ নেয় বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন তিনি। দেওয়ান ফয়সাল রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ তাঁর নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, আসামী দেওয়ান ফয়সাল তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অনেকের নাম বলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মূহুর্তে কারো নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

ফয়সালের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ও উপজেলা যুবলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন থেকে যুবলীগ নেতা নোমানের সাথে দেওয়ান ফয়সালের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। ঘটনার দিন ৮ টায় দেওয়ান ফয়সালের কাছে ফোন আসে যুবলীগ নেতা নোমানকে মারতে হবে। এমন ফোন পেয়ে মোটরসাইকেলে করে রামগঞ্জ থেকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় এসে মোটরসাইকেল রেখে পায়ে হেটে নাগেরহাট সড়কের পোদ্দার বাজার স-মিল এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় ফয়সালসহ ৮ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে শটগান থেকে গুলি চালায়। এক পর্যায়ে নোমান দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তিনজন অস্ত্রধারী নোমানের মাথায় ও বুকে গুলি করে রাস্তায় ফেলে যায়। হত্যাকান্ড শেষে ফয়সালসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে রামগঞ্জের দিকে চলে যায়। এরপর দেওয়ান ফয়সাল এক জনৈক ব্যক্তির হলুদ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

উল্লেখ্য ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান তিনিও। 

২৬ এপ্রিল রাত ১ টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকে র‍্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, হত্যারকাণ্ডের পরের দিন রামগঞ্জ অবস্থান করলেও এরপর গাঢাকা দেয় দেওয়ান ফয়সাল। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল সোমবার দেওয়ান ফয়সালকে ঠাকুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১। আজ দিনভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিবে বলে পুলিশকে জানায়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এঘটনায় এজহার নামীয় ৬ আসামীসহ মোট ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন পর্যায়ে রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। ঘটনারপর একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এজহার নামীয় ৩ নং আসামী দেওয়ান ফয়সাল ও আলমগীরসহ দুইজনকে সনাক্ত করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পরদিন নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৩প জনকে আসামি করে মামলা করেন।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.