৫ বছরের শিশু মাহবুব আলমের বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় চলতি মাসের ৬ তারিখে। পরদিন শিশুটির বাবা তাকে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয়নি মায়ের কাছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, লোকজন নিয়ে শিশুটির বাবার বাড়ীতে গেলেও সোজা জানিয়ে দেয় শিশু মাহবুব আলমকে তার মায়ের কাছে ফেরত দেওয়া হবে না। বুকের ধনকে হারিয়ে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে পাগলপ্রায় হয়ে যায় মনোয়ারা খাতুন মুক্তা।উপায়ান্তর না দেখে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে শুিশু মাহবুবুল আলমকে তার মা নিজ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে।
মায়ের আবদেন মন্জুর করে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শিশুকে উদ্ধার করে তার মায়ের হেফাজতে দিয়ে আদালতে হাজির করার আদেশ দেন।
গতকাল বুধবার (১০ মে) শাহজাদপুর পারিবারিক জজ আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন।
শিশুটির মায়ের আইনজীবী আ: আজিজ জেলহক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন শিশু শিশুটিকে তার মায়ের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়।শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত আবেদন মঞ্জুর করে শিশুটি উদ্ধারের জন্য থানা পুলিশকে আদেশ দেন।
বুধবার বিকেলে শাহজাদপুর থানাপুলিশ আদালতের আদেশে উপজেলার বাতিয়া গ্রামের শিশুটির বাবার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মায়ের হেফাজতে দিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে শিশুকে তার মায়ের জিম্বায় প্রদান করে শাহজাদপুর পারিবারিক জজ আদালত।।এখন থেকে শিশুটি তার মায়ের কাছে থাকবে।
শিশুর নানি বলেন আমার মেয়ে তার সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় ছিলো।সন্তানের জন্য দেওয়ালে মাথা ঠুকেছে কয়েকবার।খুব ভয়ে ছিলাম আমার মেয়ে মারা যায় কি না। এভাবে আমার নাতীকে ফিরে পাবো ভাবতেই পারিনি।তবে অনেকে বলেছিলো কোর্টে গেছো নাতি ফিরে পাবে।
এদিকে বুকের ধন ফিরে পেয়ে মনোয়ারা খাতুন মুক্তা খাতুন আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।সন্তান ফিরে পেয়ে কেমন লাগছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন এটা বলে বোঝানো সম্ভব না।
শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. এরশাদুল বলেন, আদালতের আদেশে উপজেলার বাতিয়া গ্রামে ঘটনাস্থলে যাই। বুধবার সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের হেফাজতে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে শিশুটির মায়ের জিম্বায় দিয়েছে।