ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় হাসপাতালে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছেন স্বামী সোহেল (৩০)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১০টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম তানিয়া (২৩)। তিনি উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরকচ্ছপিয়া গ্রামের বারেক দালালের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা শশীভূষণ থানায় বাদী হয়ে সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহতের বাবা বারেক দালাল জানান, প্রায় ৭ মাস আগে উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রব মিলিটারি বাড়ির মৃত বারেকের ছেলে মো. সোহেলের সাথে তানিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তানিয়াকে যৌতুকের জন্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন স্বামী সোহেল। ফের গত বুধবারও তানিয়ার কাছে যৌতুক দাবি করে তাকে বেধড়ক মারধর করেন স্বামী সোহেল। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তানিয়া বিষপান করে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে তার শশুর বাড়ির লোক মারফত শুনতে পান। পরে হাসপাতালে ছুটে জানা তারা। সেখানে গিয়ে তার মেয়ে তানিয়ার মরদেহ দেখতে পেলেও নিহতের স্বামী সোহেলকে দেখতে পাননি।
তিনি আরো জানান, আমার মেয়ে তানিয়ার মরদেহ হাসপাতালের রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী সোহেল। এ ঘটনায় তিনি তানিয়ার স্বামী সোহেলের কঠিন বিচারের দাবি জানান।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী সোহেল সহ তার পারিবারের সদস্যরা পলাতক থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং এ ঘটনায় নিহতের বাবা সোহেলকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।