স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসকন সমর্থকদের হামলা ও বিক্ষোভের পেছনে দেশ ও দেশের বাইরের ইন্ধন থাকতে পারে। এছাড়াও দেশের ভেতরে বিভিন্ন পার্টি আছে তাদেরও ইন্ধন থাকতে পারে। এমনকি যাদেরকে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়েছে তাদেরও কিছুটা ইন্ধন থাকতে পারে। যদি এ ব্যাপারে কারও ইন্ধন পাওয়া তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউজে বিভাগীয় ও জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা হয়েছে। একটা ফলপ্রসূ সমাধান হয়েছে। ছাত্ররা আমাদেরই ভাই, ছেলে ও স্বজন। তাদের প্রতি খুব একটা কঠোর হওয়া যাবে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে। তারা খুবই বুদ্ধিমান, এজন্য তারা আজ বুঝতে পেরেছে এবং নিজেরো নিজেদের মধ্যেই বিষয়টি সমাধান করেছে।
৫ আগস্টের পরে প্রতিহিংসামূলক মামলা নিয়ে তিনি বলেন, এটা একেবারে সত্য কথা। অনেক ভুয়া মামলা হয়েছে। ভুয়া মামলা দিয়ে অনেকে টাকা রোজগারও করেছে। কিন্তু ভুয়া মামলায় নিরপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার ও লিগ্যাল এইড একজন অফিসারকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারা এটা দেখবে। কোনটা গ্রহণযোগ্য, কোনটা অগ্রহণযোগ্য। এমনকি যারা ভুয়া মামলা করবে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলেন তিনি।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও সম্পূর্ণ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। তাই উদ্ধার অভিযান এখনও বন্ধ হয়নি। অস্ত্রগুলো বাইরে থাকলে কিছুটা হুমকি থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৬, ৭ ও ৮ আগস্টের চেয়ে দেশের অবস্থা এখন অনেক উন্নত হয়েছে। তবে সবকিছু একসঙ্গে উন্নতি হবে না। আরও উন্নতি হওয়ার সুযোগ আছে। এজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
কমিউনিটি পুলিশিং গঠন প্রসঙ্গে বলেন, ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক ছাত্র, অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং গঠন করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলছে। প্রথমে ঢাকায় হবে। তারপরে অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে কমিউনিটি পুলিশিং গঠন করা হবে।