নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ৫৫ হাত পানির নিচ থেকে টেনে তুলেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়।
সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লঞ্চটি টেনে তুলে নদীরে তীরে আলামিননগর এলাকায় রাখা হয়।
লঞ্চের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে নতুন করে কোনো লাশ মেলেনি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, "এখনো চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে স্বজনরা নাম লিখিয়েছেন। নদীতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।"
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, "ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের পর তল্লাশি চালানো হয়েছে, সেখানো কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, স্রোতের কারণে লাশ চলে যেতে পারে। মরদেহের খোঁজে নদীতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত আছে।"
রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদরের সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন মালবাহী জাহাজ রূপসী-৯ পেছন থেকে চাপা দিলে ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আশরাফ উদ্দিন-২। লঞ্চটির নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছিল।
লঞ্চে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রীর অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ থাকেন অনেকে।
সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে দুই শিশুসহ ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া জাহাজ রূপসী-৯ এবং এর মাস্টারকে মুন্সীগঞ্জের হোসেনদি এলাকা থেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ।