পটুয়াখালীর
উপকূলীয় ‘তরমুজ রাজ্য খ্যাত’ রাঙ্গাবালী উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও প্রায় ছয় হাজার চারশ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের
আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এ মৌসুমী ফল
জেলার চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি রাজধানীসহ সারাদেশে পাঠানো হচ্ছে।
জানা গেছে,
প্রাকৃতিক দুর্যোগের
আশঙ্কা থেকে বাঁচতে এবং অতিরিক্ত লাভের আশায় মোট জমির প্রায় এক-তৃতীয়াংশে তরমুজের
আগাম আবাদ করেচেন চাষীরা। আগাম আবাদকৃত এসব তরমুজ এখন বাজারজাত করতে সড়ক এবং নৌপথ ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের আরো গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে।
রাঙ্গাবালীর
বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, আগাম তরমুজ পাকতে শুরু করায় ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী, হরিদ্রখালী ও কোড়ালিয়াসহ বেশ
কয়েকটি স্থানের চাষিরা এসব আগাম তরমুজ বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে নৌপথ ধরে রওয়ানা দিয়েছেন রাজধানীর বাজারে।
চাষীরা জানান,
জ্বালানির দাম
বাড়ায় সড়ক এবং নৌপথেও এখন অতিরিক্ত খরচ গুণতে হচ্ছে। তবে তরমুজের ভালো দর পেলে অতিরিক্ত
এ খচর পুষিয়েও লাভবান হওয়া যাবে।
কৃষিবিদদের
ধারণা, দেশের বাজারে রাঙ্গাবালীর রাঙ্গা তরমুজের যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি বিদেশের মাটিতেও বেশ কদর রয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় তাই এবারো দেশের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাঙ্গাবালীর রাঙ্গা তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
রাঙ্গাবালির
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম সংবাদ সারাবেলার প্রতিনিধি শাহিন খানকে বলেন, প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর রাঙ্গাবালিতে কিছু নতুন তরমুমের আবাদ হয়েছে। বাজারে সেগুলোর কদরও বেশি। কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রি এবং তরমুজের বাজার ভালো থাকায় চাষীরা তাদের কাঙ্খিত উপার্জনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করতে পারবে।