স্বামী ইউছুফের
বিরুদ্ধে স্ত্রীকে গর্ভপাতের ওষুধ খাইয়ে গর্ভের পাঁচ মাসের ভ্রুণ হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
চরফ্যাশন
উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মিতু (১৮) অভিযোগ করে বলেন, গত এক
আগে উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মন্নান পন্ডিতের ছেলে ইউছুফের
সঙ্গে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
তিনি আরও
বলেন, গত ৭ মার্চ তার ইউরিন সমস্যার জন্য ওষুধ এনে দিতে বললে তার স্বামী তাকে টিস্যুতে
করে পাঁচটি খোলা ট্যাবলেট এনে সেগুলো খেতে বলেন। ওই ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই গর্ভের বাচ্চা
নড়াচড়া দিয়ে ওঠে এবং তার পেটে পর্যাপ্ত ব্যাথা শুরু হয়।
জানা গেছে,
মিতুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর তার আল্ট্রা ও ইউরিন পরীক্ষা করে
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গর্ভপাত করাতে হবে বলে জানান। পরে চরফ্যাশন হাসপাতালে গত ৮
মার্চ রাতে তার গর্ভপাত করানো হয়।
গর্ভপাতের
পরদিন হাসপাতাল থেকে বাড়িতে যাওয়ার পর মিতুকে
তার স্বামী শারীরিক নির্যাতন করেন এবং তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
মিতু অভিযোগ
করে বলেন, এখন তার স্বামী তাকে তালাকের কাগজ পাঠিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
ইউছুফ অভিযোগ
অস্বীকার করে বলেন, গর্ভপাতের জন্য মিতুকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। সে পুকুরের ঘাটে
কয়েকদিন একাধিকবার পড়ে গিয়েছে। এর ফলে এ সমস্যা হতে পাড়ে।
তিনি আরও
বলেন, তার স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত
চিকিৎসক ফারজানা তারিন বলেন, ওই রোগি আমার কাছে ব্যাথা নিয়ে আসেন। তবে তাঁর ব্যাথা
ওঠার কারণ তিনি জানাননি। আমি আল্ট্রা ও ইউরিন পরিক্ষা করার পরে দেখলাম যে- ওনার অ্যাবর্শন
করাতে হবে। আর তাই ওই রোগীকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।