× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

৫১ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি নলছিটির ১৪ শহীদ পরিবারের

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

২৫ মার্চ ২০২২, ১১:০১ এএম

স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও স্বীকৃতি মেলেনি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ১৪টি শহীদ পরিবারের।

একাত্তরের ২৫শে মার্চ ভয়াল কালো রাতে নিরীহ বাঙ্গালির উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায় তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

এরপর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিশ্বের মানচিত্রে যোগ হয় একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ।

মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে দুই লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারান। শহীদ হন ৩০ লাখ মুক্তিকামী জনতা। লাখো শহীদের সাথে যোগ হয়েছিল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ১৪ জন শহীদের নামও।

১৯৭১ সালে ১১ মে নলছিটি থানায় তৎকালীন এস আই মো. ইউসুফ আলী উপজেলার ১২৬ জন গুণী ব্যাক্তিকে থানায় দাওয়াত দেন। এদের মধ্য থেকে ১৪ জন গণ্যমান্য হিন্দু নেতাকে দুই দিন বিনা অপরাধে পরিকল্পিত ভাবে থানায় আটকে রাখার পর ১৩ মে পাকিস্তানি দোষর আলবদর রাজাকারের সহায়তায় সুগন্ধা নদীর তীড়ে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে বলে জানা গেছে।

সেদিন ১১ জন শহীদ হন ও তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচে যান। ১১ জন শহীদ হলেন- ভাষান পোদ্দার, কেষ্ট মোহন নন্দী, শ্যামা কান্ত রায়, দশরথ কুন্ড, হরিপদ রায়, অক্ষয় কুমার আচার্য্য, কার্তিক চন্দ্র ব্যানার্জী, শচীন্দ্র নাথ দে, অতুল চন্দ্র কুঁড়ি, নেপাল চন্দ্র কুঁড়ি ও সুকুমার বনিক।

সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েও আলৌকিক ভাবে বেঁচে যাওয়া তিনজন কয়েক দিন পরেই মারা যান। তারা হলেন- খিতিশ চন্দ্র দত্ত, অনীল চন্দ্র দে, কালিপদ মজুমদার। 

আজও সেসব শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের স্বজনের খোজে তামাক পর্টি খালের মুখে অশ্রু বিসর্জন দেন। এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এসেও স্বজনহারা মানুষগুলো শহীদ পরিবারের স্বকৃতি না পাওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.