× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সাতক্ষীরায় অসময়ে বৃষ্টির কারণে আম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

২৬ মার্চ ২০২২, ০৭:৫৮ এএম

চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সাতক্ষীরায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

গত বছরের তুলনায় এবছর আম গাছে মুকুল ফুটেছে কম, তার উপর অসময়ে ঝড়-বৃষ্টির কারণে আমের ফলন নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।যদিও কৃষি বিভাগ বলছে, বৃষ্টিতে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হলেও কৃষকদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আমের মূল্য নির্ধারণ সহ পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর, তালা, কলারোয়া দেবহাটা ও কালিগঞ্জ এই পাঁচ উপজেলায় জেলার সব থেকে বেশি আম উৎপাদন হয়। প্রতিবছর এসময় সাতক্ষীরার এই অঞ্চলে আমের বাগানগুলো মুকুলে মুকুলে ভরে উঠলেও এবছর যেন চিত্রটা ভিন্ন।

সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে হিমসাগর ও গোবিন্দভোগ আম গাছে এবার তুলনামূলক মুকুল ফুটেছে কম।সাতক্ষীরা আম বাগান ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম জানান, আমাদের এবছরে আম গাছে মুকুল তেমন দেখা যায়নি। যতটুকু মুকুল হয়েছিল তাও বৃষ্টির ও কুয়াশার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তিনি আরও জানান, গত দুই বছর আমপানের কারণে তেমন লাভের মুখ দেখতে পায়নি।

সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায় বা আমরা কিছু এনজিও এর সাথে কাজ করছিলাম তারা ও যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায় তা হলে আমরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হবো।সাতক্ষীরার কুখরালী এলাকার আম চাষি জাহিদ হাসান বলেন, এবছর গাছে আমের মুকুল কম। তার উপর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঘন কুয়াশার কারণে আমের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই মুকুল ধরে রাখার জন্য বাবর ঔষধ স্প্রে করতে হচ্ছে। তাছাড়া কিছু কিছু ঔষধের দাম অনেক বেশি যা আমাদের জন্য খুবই ব্যয়বহুল।

সাতক্ষীরা গড়েরকান্দা এলাকার আম চাষি মো. সাহিদুর রহামন বাবু জানান, এবছর আট থেকে ১০ লাখ টাকা আম বাগান কিনেছি। সেই হিসেবে গাছে তেমন মুকুল ধরেনি। গোবিন্দভোগ আম গাছে কিছু মুকুল ধরেছে, তবে হিমসাগর গাছে মোটেও মুকুল ধরেনি।

তিনি আরও জানান, গত বছরের আগের বছরে আমপান ঝড়ে যে ক্ষতি হয়েছিল, সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার চেষ্টায় ছিলাম কিন্তু এবছর তো কোন মুকুল হয়নি। তাই সরকার যদি আমাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতো তাহলে আমরা সেই ক্ষতিটা উসুল করে উঠতে পারতাম।

সাতক্ষীরা খামার বাড়ির উপ-পরিচালক মো. নুরুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় চার হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষাবাদ করা হয়েছে আর আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। বিদেশে রপ্তানির জন্য ৫০০ আম বাগান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি যোগ্য।

তবে এবছর বৃষ্টির কারণে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হলেও কৃষকরা যাতে এই ক্ষতি পরিমাণ কাটিয়ে উঠতে পারে সে জন্য আমের মূল্য নিধারণ সহ বিদেশে রপ্তানির সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.