বরগুনার
তালতলীতে চুরির অভিযোগে কাজী ডেকে স্বামী ফোরকানকে তালাক দিয়েছেন স্ত্রী মাসুমা বেগম।
শনিবার
(২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বজনরা
জানান, প্রথম পক্ষের স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর ২০০৭ সালে
বেতাগীর সরিষামুড়ি ইউনিয়নের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে ফোরকানে সঙ্গে তালতলীর নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী আবাসেনর মাসুমা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা বড়ইতলীতে বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয়রা
জানান, শনিবার রাতে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের দুইটি জামে মসজিদ থেকে তিনটি সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি চুরি হয়। সকালে ছোট বগী খেয়াঘাট এলাকায় বসে চুরি হওয়া ওই ব্যাটারিসহ স্থানীয়দের
হাতে আটক হন ফোরকান। পরে
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মসজিদ কমিটির
কাছে চুরির সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।
চুরির
বিষয়টি নিয়ে দুপুরে বড়ইতলী আবাসনে সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকে চুরির অভিযোগে স্বামীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী মাসুমা বেগম। এরপর স্থানীয় কাজী মহিবুল্লাহকে ডেকে ওই বৈঠকেই স্বামী
ফোরকানকে তালাক দেন তিনি। পরে ব্যাটারিগুলো মসজিদ কমিটিকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়
ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, সকালে চুরির বিষয়টি মুসুল্লিদের মাধ্যমে জানতে পারি। পরে বগীতে স্থানীয়রা চোরকে আটক করে আমাকে খবর দেয়। দুপুরে স্থানীয়রা সালিশ বৈঠক বসায়। এসময় চুরির অভিযোগে স্বামীকে কাজী ডেকে তালাক দেন স্ত্রী।
স্ত্রী
মাসুমা বেগম বলেন, যে স্বামী আল্লাহর
ঘর থেকে চুরি করতে পারে তার সাথে আর যাই হোক
ঘর সংসার করা যায় না। এজন্য কাজী ডেকে তাকে তালাক দিয়েছি।
কাজী
মুহিব্বুল্লাহ বলেন, শরীয়ত মোতাবেক মাসুমা বেগম তার স্বামী ফোরকানকে তালাক দিয়েছেন।
এ
বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।