× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

গোপালগঞ্জে তরমুজের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাঁসি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

২২ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৩০ পিএম

তরমুজের বাম্পার ফলন

গোপালগঞ্জে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এসব তরমুজ পুরো জেলার চাহিদা মিটিংয়ে বরিশাল, ঢাকা, মাদারীপুর, পিরোজপুর, বাগেরহাট  ও খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। অনুকূল পরিবেশ, রোগব্যাধি কম ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। বর্তমান বাজারে তরমুজের দাম ভালো থাকায় খুশি কৃষকরা।

গোপালগঞ্জের দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের তরমুজ এর জন্য প্রসিদ্ধ স্থান। সময় মত বীজ-সার পাওয়ার সাথে সাথে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত দুই বছরে ফলন ভালো হলেও করোনার কারণে বাজার মন্দ থাকায় লাভবান হতে পারেনি এ জেলার কৃষকেরা।

কিন্তু এ বছর ফলন ও বাজার দুই ভালো হওয়ায় গত বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। রমজানে ফসল ওঠায় অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল দাম পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকার এসে এখান থেকে তরমুজ নিয়ে ব্যবসা  করে তারাও লাভবান হচ্ছে। 

বিগত বছরগুলোতে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারনে তরমুজের গাছ জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। এবছর অতিরক্ত বৃষ্টি না হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে বৃষ্টির পানি না জমায়  তরমুজ চাষের সুযোগ হয়েছে। ফসলও হয়েছে ভাল। বৃষ্টি না হওয়ায় চাষিরা ঠিকমত ফসল তুলতে পেরেছে। ৫ উপজেলার কালিনজিরা, কালিগঞ্জ, তেঁতুল বাড়ি, মাছপাড়া, নলুয়া,বুরুয়া, কুমুরিয়া,চকপুকুরিয়া ও হিজল বাড়ি গ্রামের মাঠে  তরমুজের  ব্যপক চাষ করা হয় ।এই সব এলাকার কৃষকেরা এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছে।

এক একটি তরমুজ ৫০ থেকে ২০০ টাকা পযর্ন্ত বিক্রি করছেন কৃষকরা। বিঘা প্রতি জমিতে তরমুজ  চাষে কৃষকদের খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বাকী সময় আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং ফল ঠিকমতো তুলতে পারলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ করবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।

রমজান মাসে তরমুজের ভালো চাহিদা থাকায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে ফসল তুলে রাস্তায় বা আড়তে আনা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে পাইকাররা এসে এখান থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে ব্যবসা করছেন।

কৃষক রতন হাওলাদার বলেন, গত দুই বছরও তরমুজ চাষ করেছিলাম ফলনও ভালো হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে বাজার ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ভালো দাম পাইনি। এবারও ফলন ভালো হয়েছে। ফল তোলার সময় রোজা পড়ায় দাম ভালো পাচ্ছি। বাঙ্গি তোলা পর্যন্ত এ রকম দাম থাকলে আশা করি বেশ ভালো লাভ হবে।

গোপালগঞ্জ থেকে তরমুজ কিনতে আসা ফলের আড়ৎদার রাজীব কাজী বলেন, আমাদের আড়ৎ এ বছর প্রথম চালু করেছি ইতিমধ্যে প্রায় বিশ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। এখানে নয়টি আড়ৎ রয়েছে প্রতিদিনই এইভাবে প্রত্যেক আড়তে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, জেলায় এবছর তরমুজের ফলন হয়েছে প্রচুর। বৃষ্টি না হওয়ায় তরমুজ চাষে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হয়েছে।এ বছর অন্যান্য বছরের ক্ষতি এবছর পুষিয়ে নিতে পারবে কৃষকরা। তরমুজ বিক্রিতে তাদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই ব্যবস্থা ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের । এবছর এজেলায় ৭৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রতিবছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কৃষকের অর্থকারী ফসল তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকেরা অনেক লাভবান হয়েছে এবং তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.