ঈদের পরদিনও ঢাকা ছাড়ছে
মানুষ। যারা নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন, তাদের অধিকাংশই ঈদে ছুটি না পাওয়ায় আজ
যাচ্ছেন। কেউ কেউ ঈদযাত্রার ভোগান্তি এড়াতে দেরিতে ফিরছেন। ঈদের আনন্দ
ভাগাভাগি করতে ঘরে ফেরাদের মধ্যে রয়েছেন রিকশাচালক ও দিনমজুরও। বাড়তি আয়ের
আশায় তারা ঈদের দিন ঢাকায় ছিলেন। ফলে তারা ঘরে ফিরলেই উৎসবে মাতবে এসব
পরিবার।
আজ বুধবার (৪ মে) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল
ঘুরে ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরা মানুষের বেশ চাপ দেখা গেছে। বাস কম থাকায়
অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে টিকিট।
পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে
খুলনার পাইকগাছা যাচ্ছেন মনসুর গাজী। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে
কর্মরত। মনসুর বলেন, ‘ঈদে ছুটি ছিল না। আজ ছুটি পেয়েছি। পরিবারের সবাইকে
নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি। সেখানে বাবা-মাসহ পরিবারের সবাই রয়েছেন। রাত ৯টার বাসে
টিকিট কিনেছি।’
ঢাকায় দীর্ঘদিন রিকশা চালাচ্ছেন আবুল খায়ের। তিনি
যাবেন গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। ঈদের আগে যাননি ভাড়া বেশি বলে।
ঈদের পরদিন কাউন্টারে এসেছেন। তবে ৭০০-৭৫০ টাকা ভাড়া চাওয়ায় টিকিট কেনা
নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। টিকিট কেনেননি এখনো। ভাড়া বেশি থাকলে
গ্রামের বাড়িতে যাবেন না বলে জানান আবুল খায়ের।
তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, গাবতলী থেকে সাতক্ষীরা শ্যামনগরের ভাড়া ৮৫০ টাকা। এটা সরকারের নির্ধারন করে দেওয়া ভাড়া।
সেলফি পরিবহনের স্টাফ নাছির হোসেন বলেন, ‘আজও যাত্রীর বেশ চাপ। আমরা গাড়ি ভরে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি।’
ঈগল
পরিবহনের টিকিট বিক্রয়কর্মী মো. রুবেল বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টায় একটা গাড়ি
গেছে। পাঁচটা সিট খালি ছিল। রাত ৮টায় আরেকটা গাড়ি আছে। গাড়ি যা ফিরছে,
সেগুলোই যাচ্ছে। এখন গাড়ি কম। যাওয়ার সময় যাত্রী থাকলেও ফেরার সময় ফাঁকা
আসছে।’
ঢাকা-সাতক্ষীরা রুটে চলাচল করা এসপি গোল্ডেন লাইনের ম্যানেজার
আব্দুর রহমান বাবু বলেন, ‘এখন গাড়িতে পেছনের দুটি সিট খালি আছে। রাত ৮টার
পর ছাড়া আর কোনো গাড়িতে সিট নেই। যাত্রীর চাপ আছে ভালোই।’