পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোবাইল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজীকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনায় ২০জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১৫-২০জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। ৭ মে শনিবার মতলব উত্তর থানায় উজ্জ্বল মিয়াজীর বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী বিবাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন ৷ মামলা নং-৬। তারিখ- ০৭ মে ২০২২ইং। নিহত উজ্জ্বল মিয়াজী মুন্সিগঞ্জ জেলার কালিরচর এলাকার মৃত. হাজী আবদুল খালেক মিয়াজীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পূর্বপাড় ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের মোবাইল ব্যাবসায়ী উজ্জ্বল মিয়াজী ঈদ পুনর্মিলনির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঘটনাস্থলে আসে । রাতে অনুষ্ঠান স্থল পরিদর্শন করতে গেলে চিহ্নিত বাবলা খালাসী’সহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জন মিলে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনি এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুলি করে উজ্জ্বল মিয়াজিকে হত্যা করে।
উজ্জ্বল মিয়াজীকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজী বলেন। তিনি হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন।
ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে উজ্জ্বল মিয়াজীকে কুপিয়ে যখম করা হয়। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে উজ্জ্বল মিয়াজী ইন্তেকাল করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, উজ্জ্বল মিয়াজী ২০০০ ব্যাচ নিয়ে শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছিলেন ষাটনল পর্যটন কেন্দ্রে। রাতে ওই অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে আসে। ওখানে বাবলা ডাকাতের নেতৃত্বে প্রথমে ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তার সাথের লোকজন সব ছোটাছুটি করে দূরে সরে গেলে তাকে রামদা, দা ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ফেলে চলে যায় বাবলা ডাকাত। পরে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানায় খবর দেয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, নিহত উজ্জ্বল মিয়াজীর বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া মিয়াজীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ২০জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।