× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের মুখে উলপুর জমিদার বাড়ি

আশিক জামান,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

০৮ মে ২০২২, ১৪:৪১ পিএম । আপডেটঃ ০৮ মে ২০২২, ১৪:৪৬ পিএম

উলপুর জমিদার বাড়ি। ছবি-সংবাদ সারাবেলা

শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার  উলপুর জমিদার বাড়ি। বিট্রিশ আমলের ইট, সুরকি ও রড দিয়ে তৈরী বাড়িটি আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। জমিদার বাড়িজুড়ে নান্দনিক, দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর কারুকাজ ঐতিহ্যের নিদর্শন ও প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী। জেলার সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নে উলপুর জমিদার বাড়ির অবস্থিত।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, উলপুরের জমিদারেরা একশ ঘর  ছিলেন। ১৯০০ শতকে জমিদার প্রীতীশচন্দ্র রায় চৌধুরী প্রায় ২০০ একর জায়গাজুড়ে উলপুর জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। দেবোত্তর সম্পত্তি হওয়ায় সরকারের তেমন কোনো সুনজর নেই ওই বাড়িটির উপর। তবে স্থানীয়রা বলছে উলপুর জমিদার বাড়িটি সরকারি ভাবে সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে দিনে দিনে বিলীন হয়ে যাবে। ইতিহাস থেকে নাম মুছে যাবে ঐতিহ্যবাহী এই জমিদার বাড়ির। নতুন প্রজন্ম দেখতে পারবে না এই ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ির  শেষ সৃতিটুকু।তৎকালীন হিন্দু জমিদার কর্তৃক এখানে ৩৬৫ টি জমিদারি ভবন নির্মিত হয়েছিলো বর্তমানে যার অধিকাংশ কিছু কুচক্রী দখলদার কর্তৃক তা ভেংগে ফেলা হয়েছে।  বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ থেকেও সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করা হয়নি।

শত শত বছরের ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে বুকে নিয়ে এখনো  দাঁড়িয়ে আছে উলপুর জমিদার বাড়ি। পূরাকীর্তির নিদর্শনে ভরা একটি প্রাচীন জমিদার বাড়ি । পুরানো অনেক নিদর্শনই এখন আর নেই, অযত্ন আর অবহেলায় জীর্ণ-শীর্ণ জঙলাবৃত হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আগে এসব ভবন দেখতে ভিড় করেছে দর্শনার্থীরা।এখন যেন সে চিত্রটি ভিন্ন। আগের মতো দর্শনার্থীরাও আসছে না এ জমিদার বাড়িতে।  জমিদার বাড়ির বেশিরভাগ জায়গা দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উলপুর জমিদার বাড়ি।

গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে উলপুর গ্রামে প্রাচীন বাংলার শৌর্যবীর্য এবং আভিজাত্যের সাক্ষী উলপুর জমিদার বাড়ি অবস্থিত। এই জমিদার বাড়িটি এই অঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, উলপুরের জমিদারেরা একশ ঘর  ছিলেন। ১৯০০ শতকে জমিদার প্রীতীশচন্দ্র রায় চৌধুরী প্রায় ২০০ একর জায়গাজুড়ে উলপুর জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। কালের আবর্তে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলেও তৎকালীন জমিদার কর্তৃক নির্মিত কিছু  ভবনগুলো এখনো ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে  টিকে আছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরে জমিদার প্রিতিশ রায় কলকাতা চলে যায়। সরকার বাড়িটি খাস খতিয়ানে নিয়ে  নেয়।

এই বাড়ির ভবনগুলোর কারুকাজ অত্যন্ত সুন্দর। এই জমিদার বাড়িতে বেশ কয়েকটি বড় দিঘী রয়েছে। এক সময় এই গ্রামে জমিদারদের ৩৬৫টি ভবন ছিল। তা নদীগর্ভে ও অযত্নে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখন উলপুর গ্রামে জমিদারীর কাজে ব্যবহৃত আটটি দোতলা দালানসহ বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবন বর্তমানে উলপুর তহশীল অফিস, সাব পোস্ট অফিস, পুরোনো ইউনিয়ন বোর্ড অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। উলপুর জমিদার বাড়ির বেশিরভাগ স্থাপনা আজ সংস্কারের অভাবে  ধ্বংসের পথে।

ইতিহাস বলে এক সময় এই জমিদারদের বাড়ির সামনে দিয়ে জুতা সেন্ডেল খুলে ও ছাতি বন্ধ করে চলাফেরা করতে হতো সাধারণ মানুষদের। এই জমিদার বাড়িতে বিচার ও শাসন ব্যবস্থাস কঠোর ছিল। এখন কিছু ভবন প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। আর ভবন অযত্ন অবহেলায় ও সংস্কারের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এই বাড়িতে বেশ কয়েকটি ভবন ও বড় দিঘী রয়েছে। ভবনগুলোর স্থাপত্যশৈলী ও কারুকাজ অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মধুমতিন নদীর বিলরুট ক্যানেল। আগে দর্শনার্থীরা এখানে এসেই এর মনোরম কারুকাজ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হতো ।এখন তা কালের গর্ভে সৌন্দর্য বিলীন হয়ে গেছে। 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার  জানান, পর্যটন ও দর্শনার্থীদের চাহিদা মেটানোর জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে এসব পূরাকীর্তি তথ্যসমৃদ্ধ ইতিহাস তুলে ধরতে সংরক্ষণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রত্নতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগের কাছে নেয়ার জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.