ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে মোংলা সমুদ্রবন্দর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ
সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে উল্লেখিত এলাকায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি
গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টির সাথে সাথে হালকা বাতাস বইতে শুরু করে। বেলা
বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির গতি বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় মোংলা বন্দরকে
দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া
অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে মোংলা থেকে ১০২০
কিলোমিটার দূরে রয়েছে। উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করায় এর
প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বিশেষ করে মোংলা
বন্দর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম
শুরু করেছে। সেই সাথে বন বিভাগও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
মোংলা
বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ও হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন,
‘ঘূর্ণিঝড় আসানির আক্রমণের সম্ভাব্য প্রস্তুতি হিসেবে নৌবাহিনী, কোস্ট
গার্ড ও সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সমন্বয় করা হচ্ছে। বন্দর চ্যানেলে
দেশি-বিদেশি সাতটি বাণিজ্যিক জাহাজের অবস্থান ও চলাচলে সর্তকতা আরোপ করা
হয়েছে।’
বরিশালের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি
কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, বরিশাল বিভাগে
চার হাজার ৯১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আসানি মোকাবিলায় অধিকাংশ
আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ২০ লাখ মানুষের পাশাপাশি
তাদের গবাদি পশুও রাখা যাবে। এর পাশাপাশি ৩৩ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক
প্রস্তুত রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন,
বরিশাল জেলায় এক হাজার ৭১টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি
আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ৮০টি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র
হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।