আকাশ তখন মেঘে ঢাকা। কৃষকদের সাথে চাষবাস নিয়ে কথা বলছিলেন কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। এরপর তিনি বৈরি আবহাওয়াতেই যান বোরো ধানের ক্ষেত পরিদর্শনে। পরে সবাইকে অবাক করে নেমে যান ধানের ক্ষেতেই। এসময় ধান চাষ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এর আগে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।

আজ সোমবার (৯ মে) সকালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে পতিত জমিতে বোরো ধান আবাদের ফসল কর্তন উৎসব ও মাঠ দিবস উনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। শুধু মাত্র রাস্তাঘাট, বড় বড় বিল্ডিং করলেই দেশের উন্নয়ন হবেনা। কৃষকদের উন্নতির ওপর দেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল। এজন্য প্রয়োজন বেশি করে শষ্য ফলানো। আর সেজন্য কৃষকদের কৃষি বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ প্রয়োজনীয় সব সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।

ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টাকা কোন সমস্যা নয়। প্রধান মন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে সফলতার জন্য একটি বড় মেগা প্রকল্প তৈরী করতে বলেছেন। আমরা অচিরেই সেই প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাবো।

কৃষকদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি বিরুপ আবহাওয়ার মধ্যেও একটি বোরো ক্ষেতে নেমে বোরো ধানের ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কৃষকদের পতিত জমিতে বেশি করে শষ্য উৎপাদন করার আহবান জানান।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাব্যবস্থাপক ড. মো. শাহজাহান কবির, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম চুন্নু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুছা ইবনে সাইদ, রঙ্গশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান বসির উদ্দিন সিকদার, কৃষক হারুন হাওলাদার প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে এপিএ পুলের সদস্য মো. হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আবুজর মো. ইজাজুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।