বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’-তে রূপ নিয়েছে। এ কারণে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বোরো আবাদকারী কৃষকদের আগাম ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে, এমন জমির ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। এ অবস্থায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে অধিকাংশ জমির ধান এখনো ভালোভাবে না পাকায় অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছেন।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতর জানিয়েছে, চলতি বছর মতলব উত্তরে ৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বোরো আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।
উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের কৃষক রহমান মোল্লাহ বলেন, এ বছর প্রায় ২ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন ধান কাটতে হচ্ছে। তবে আর দু-এক সপ্তাহ পর কাটলে ভালো হতো।
জহিরাবাদ এলাকার কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, এ বছর দেড় একর জমিতে বোরো আবাদ করেছি। ক্ষেতের ধান এখনো কাঁচা। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আগে ধান ঘরে তুলতে না পারলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমন ধান কাটার পর এ অঞ্চলের কৃষকরা জানুয়ারিতে পুনরায় বীজতলা তৈরি করেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ধান রোপণ করেন। মে মাসের শেষের দিকে কৃষকরা পাকা ধান সংগ্রহ করেন। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় আগেভাগেই কৃষকদের ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বোরো চাষিদের ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৮০ শতাংশ ধান পেকেছে, এমন বোরো জমির ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে কৃষকদের।