ইলিশের বাড়তি চাহিদা থাকলেও বাজারে মাছের দেখা নেই। কোনো কোনো ট্রলারের ভাগ্যে যা জুটছে, সেই যৎসামান্য মাছ বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মৎস্য আড়ৎগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে যাওয়া ট্রলারগুলো মেঘনা নদীর তীরে ফিরছে। কিছু কিছু ট্রলারে মাছের পরিমাণ একেবারেই কম। আবার অনেকে ফিরেন খালি ট্রলার নিয়েই। জেলেরা বলছেন, জাল ফেলেও মিলছে না মাছের দেখা। ফলে খালি হাতে ঘাটে ফিরতে হচ্ছে।
এখলাছপুরের জেলে মহসিন বলেন, গত বছর এই সময় নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে এক হাজার ইলিশ পেয়েছিলাম। কিন্তু গত তিন দিন নদীতে মাছ শিকার করে পেয়েছি মাত্র ১০ টি ইলিশ।
উপজেলার বাবুরবাজার, এখলাছপুর, আমিরাবাদসহ কয়েকটি মাছ ঘাটের কয়েকজন জেলে জানান, সকল কষ্ট স্বীকার করে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে গত দুই মাস নদীতে মাছ ধরতে যাইনি। এহন নদীতে মাছ ধরতে যাইয়া খালি হাতে ফিরছি। সংসারে বউ বাচ্চা নিয়া কেমনে বাছুম এই চিন্তায় আছি। দাদনদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা এনে জাল ও নৌকা মেরামত করে অনেক আশায় নদীতে নামছিলাম কিন্তু মাছ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছি।
মৎস্য ব্যবসায়ী সংসের আলী বলেন, মৎস্য আড়ৎগুলোতে মাছের আমদানি কম হলে, দাম বেড়ে যায়। ট্রলারগুলো যেভাবে খালি ফিরে আসছে তাতে কবে নাগাত ইলিশ ধরা পরবে বলা যায়না ৷
মতলব উত্তর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম জানান, আবহাওয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত জেলেদের জালে মাছ ধরা কম পড়বে।