ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বুধবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে হালকা বৃষ্টি হলেও দুপুর ১টার পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়।
টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে পানি জমে গেছে। নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়েছেন। বৃষ্টির পাশাপাশি হচ্ছে বজ্রপাতও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে অনেকটাই ফাঁকা শহরের রাস্তা। সড়কে বাস, প্রাইভেটকার ও অল্প সংখ্যক রিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন তেমন চলছে না। মানুষের উপস্থিতিও কমে গেছে। হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টির কারণে যারা জরুরি কাজে বাইরে বেরিয়েছেন তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। অল্প সংখ্যক মানুষকে ছাতা হাতে দেখা গেছে। দুপুরে স্কুল ছুটি হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাকদেরও ভোগান্তিতে পরতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ বুধবার ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।