মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার,৩ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র ভরসাস্থল এই বাজারটি। সঠিক তদারকির অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে বাজারের সৌন্দর্য।
মুন্সিবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। ফলে ,পথচারী গাড়ী যাত্রী, রোগী, স্কুল ছাত্র এবং শিক্ষার্থী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মুন্সিবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ডাকঘর সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্লাস্টিকের বোতল, কার্টুন, কর্কশিট, কাগজ, পলিথিন, বস্তাবন্ধী বাশী খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ময়লা আবর্জনার স্তুপ পেরিয়ে কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হয়।
বাজারের চারদিকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় কাচা বাজার,মাছ বাজারসহ বাজারের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর কেউই উদ্যোগ নিচ্ছেন না ময়লা অপসারণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে।
পথচারী সঞ্জিত রায় বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করতে হয়। রাস্তার পাশের ময়লা-আবর্জনা আর অসহনীয় দুর্গন্ধে কারণে চলাচল করতে কষ্ট হয়। ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বছরের পর বছর ময়লার দুর্গন্ধের কারণে বাজারে কেনাটাকা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে ক্রেতাদের, এই আবর্জনা বাজারের পাশেই রাখার কারনে পুরো বাজার দুর্গন্ধে ভরে গেছে। ব্যবসা করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে এই জায়গায় যদি ডাস্টবিন তৈরি করে দেয়া হয় তালে প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলবে । ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি একটি গণশৌচাগার করে দেওয়ার।
উপজেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমিতির কাছে সকল ব্যবসায়ীদের দাবি উপরোক্ত সমস্যা সমাধানে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি মাওলানা মাশহুদ আহমেদ জানান, নির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকায় বাজারের ময়লা এখানে ফেলা হচ্ছে, আমরা মাঝে মধ্যে গিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পরিস্কার করার চেষ্টা করেছি। ৩নং মুন্সিবাজারের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব তরফদার বলেন, ময়লা আবর্জনার ফলে রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে, দ্রুত ময়লা অপসারণ করা জরুরী।
৩নং মুন্সিবাজারের ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, আমি মাসিক সভায় এই বিষয় নিয়ে (টিএইচও) মহোদয়ের সাথে আলোচনা করেছি। তিনি বিষয় টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন জানান, ময়লা আবর্জনা অপসারণের ব্যপারে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।