সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে যমুনার চরাঞ্চল শুকিয়ে যাওয়া জেগে উঠেছে যমুনা চরাঞ্চল, লাভের আশায় বাদাম চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হওয়ার আশায় বাদাম খেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখছেন যমুনার চরাঞ্চলের কৃষকেরা।
যমুনা চরাঞ্চলের ধু ধু করে বালুচর, দিগন্তজোড়া সারিবদ্ধ বাদাম খেতে নয়ন জুড়িয়ে যায়। বাদাম গাছ ভালো হওয়ায় কৃষকদের চোখে মুখে জ্বলছে আশার আলো। সরেজমিনে বেলকুচি উপজেলার বেলকুচি চর, চরবেল, ক্ষিদ্রচাপরী, আজুগড়া, রতনকান্দী সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সারিবদ্ধ বাদাম খেতের এমন চিত্র দেখা যায়।
বড়ধুল ইউনিয়নের ক্ষিদ্রচাপরী এলাকার বাদাম চাষি তারেক মিয়া বলেন, বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে বীজ ও সার পেয়ে জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ থাকলে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারব।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিসার কল্যাণ প্রশাদ পাল বলেন, যমুনা চরাঞ্চলে বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষে নেওয়ার জন্য বাদাম চাষিদের বেলকুচি উপজেলা থেকে কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ সার দেওয়া হয়েছে।
আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫ হেক্টর চলতি বছরে ৮৭ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদামের ফলন আসতে ১৩০-১৫০ দিন সময় লাগে। বাদামের চাষ বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাবেন কৃষকেরা।