কালের পরিক্রমায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতিতে হারিয়ে যাচ্ছে এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি শিল্প। ৮০-৯০ দশকে মানুষ ধান থেকে চাল এবং চাল থেকে পিঠা তৈরির উপকরণ চালের গুড়ো তৈরির কাজে এই ঢেকি ব্যবহার করতো। এখন আধুনিক প্রযুক্তির ফলে এই ঢেকির স্থান করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক ধান ভাঙ্গা ও চাল গুড়ো করার মেশিন। আধুনিক এই যন্ত্রের ব্যবহারে মানুষ খরচ, শ্রম, আর কম সময়ে কাজ সম্পন্ন করছেন।
গ্রামে তেমন আর এই ঢেঁকি দেখা যায় না, হঠাৎ এই ঢেকি চোখে পরলো সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৬ নং ধানগড়া ইউনিয়ের পূর্ব তেলিজানা গ্রামের সোহরাম আলির বাড়িতে। কিন্তু একি ঢেকির কথা বলতেই সোহরাব আলীর চোখ থেকে বেড়ি এলো জল। সোহরাব আলী এই আধুনিক যুগে এসেও ঢেকিতে ধান,চাল ভেঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সোহরাব আলী বলেন, এক সময় তিনি ছিলেন একজন সাধারণ দিনমজুর। এখন বয়সের ভারে নিজের শারিরীক অসুস্থাতার কারণে আর তেমন ভারি কাজ করতে পারেন না তিনি। তাই নিজ বাড়িতে ঢেঁকি বসিয়ে অন্যের ধান,চাল মারাই করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন। তিনি বলেন,আধুনিক যন্ত্র আবিস্কারের ফলে আর তেমন মানুষ এই ঢেকি দিয়ে কাজ করেন না।
এলাকার মানুষদের প্রতি ১০ কেজি চাল ভেঙ্গে দিলে তিনি পারশ্রিমিক হিসাবে ২ কেজি ভাতের চাউল পান। আর এই সামান্য পারশ্রমিক দিয়েই কোনমতে দিন চলছে এই সোহরাব আলীর। সোহরাব আলীর বয়স হয়েছে ,তার পক্ষে এই কঠিন কাজ করা আর সম্ভব হচ্ছে না । তারপরও সে এই আধুনিক সময়ে এই বয়সেই এই কাজটিই করছেন তিনি। আগের মতো তেমন আর এই ঢেকিতে কেউ চাল ভাঙ্গাতে আসে না ।
তাই সোহরাব আলী তার জীবন নামের সংসার টা চালাতে পারছেন না তাই তিনি সকলের নিকট মানবিক সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন ।