× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মাদক কারবার

চাই মূল হোতাদের কঠোর শাস্তি

সম্পাদকীয়

০৩ জুন ২০২২, ১৪:০১ পিএম

প্রতীকী ছবি

মাদক মামলা বাড়ছে। পুলিশি তৎপরতাও লক্ষণীয়। তারপরও বিভিন্ন অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বারবার রিমান্ডে নিয়েও নতুন তথ্য বের করতে পারেন না তদন্ত কর্মকর্তারা। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ধরা পড়ছে কেবল এর বাহক। মামলাও হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। পরে তদন্তেও নতুন কোনো তথ্য উঠে আসছে না। এ কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন মাদক কারবারের মূল হোতা, অর্থের জোগানদাতা ও তাঁদের পৃষ্ঠপোষকরা। মাদকের উৎসও বন্ধ করা যাচ্ছে না। যেটা করা খুব জরুরি।

প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ঘটনার পেছনে সংঘবদ্ধ চক্রের কথা বলেন সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন করে মাদক উদ্ধার, এর উৎস, অর্থের জোগানদাতা, মূল হোতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের নাম জানা যাবে, এমনটা বলে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে মামলার তদন্ত আটকে থাকছে বাহককে গ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার মাদকে। পরে আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রেও থাকছে শুধু বাহকের নাম। বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর বের হয়, মাদক কারবারের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের

কর্মকর্তারা জড়িত। হয়তো এ কারণেই মূল হোতাদের তথ্য সামনে আসছে না। এমনটাও মনে করছেন অনেকেই।

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'এখন মাদক ব্যবসা চলে ‘কাটআউট' পদ্ধতিতে। তাই মামলার তদন্তে মাদকের উৎস, মূল হোতা ও অর্থের জোগানদাতাদের তথ্য পাওয়া যায় না। আমরা মাদকের ‘রুটে' যাওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে মাদকসহ যে বাহককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে, তার কাছ থেকে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না। এ কারণে অভিযোগপত্রও হয় শুধু বাহকদের বিরুদ্ধে।'

কাটআউট পদ্ধতি বলতে বোঝায়, কোনো বাহক যার কাছে থেকে মাদকের চালান নেন এবং যার কাছে পৌঁছে দেন, তারা দুজনই তার কাছে অপরিচিত। এ অবস্থায় মাদক কারবারের মূল হোতাদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। কিন্তু এই মূলে যেতে না পারলে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়।

মাদক মামলার তদন্তে যুক্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রিমান্ডের তথ্য নিয়ে অনেক সময় বাণিজ্য হয়। আবার অনেক সময় গ্রেপ্তার আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নতুন মামলা দেওয়া হয়। এতে ওই কর্মকর্তার ব্যক্তিগত অর্জন বাড়ে। তবে সার্বিকভাবে মামলার তদন্ত নষ্ট হয়। রাজধানীতে গড়ে প্রতিমাসে মাদক সংক্রান্ত মামলা হয় দেড় হাজার। তবে বেশিরভাগ মামলার তদন্তে মাদকের উৎস জানা যায় না।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, 'বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর বের হয়, মাদক কারবারের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জড়িত। হয়তো এ কারণেই মূল হোতাদের তথ্য সামনে আসছে না।'

আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাদক কারবারে জড়িত মূল হোতাদের বের করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করুক।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.