× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন

হোক সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ

১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০৪ এএম । আপডেটঃ ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ১০:১৭ এএম

আজ নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সমগ্র রাজনৈতিক সচেতন মানুষ আজ চোখ থাকবে নারায়ণগঞ্জের দিকে। বহুল আলোচিত এই নির্বাচনে সবার প্রত্যাশা থকবে, সেখানকার মানুষ যেন নির্বিঘ্নে  ভোট দিতে পারেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষও আশা করে, যে প্রার্থীই জিতুন না কেন, নির্বাচনটি যেন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচনের প্রচারের শেষ মুহূর্তে শুক্রবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার সংবাদ সম্মেলন করেও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন। সেলিনা হায়াৎ আইভী ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার আশঙ্কা করেছেন। অন্যদিকে তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁর কর্মীদের গ্রেপ্তার করছেন এবং তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।

২০১১ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের যে ধারাবাহিকতা আমরা দেখে এসেছি, তাতে সেখানে  একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়া অসম্ভব নয়। বিশেষ করে গত তিন সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রত্যেক প্রার্থী জনগণের কাছে নির্বিঘ্নে তাঁদের বক্তব্য দিয়েছেন, জনসংযোগ করেছেন, কোনো অঘটন ঘটেনি। এ জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আরও নির্দিষ্ট করে বললে প্রার্থীরা ধন্যবাদ পেতে পারেন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মসূচি ও পরিকল্পনা ভোটারদের কাছে তুলে ধরেছেন; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্পর্কে কোনো বিদ্রূপাত্মক কথা বলেননি; যা বাংলাদেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে বিরল। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী, যিনি গত দুই মেয়াদে মেয়র ছিলেন এবং বিএনপির সাবেক নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের মধ্যে।  বিএনপি নির্বাচন না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৈমূর। ২০১১ সালে সেলিনা হায়াৎ আইভী শামীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত করে জয়ী হয়েছিলেন, তখন দলীয় প্রতীকে ভোট হতো না। ২০১৬ সালে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াৎ হোসেনকে পরাজিত করে বিজয়ী হন । এই দুই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য দুই প্রার্থীর বক্তব্যকে আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন জাতীয় পর্যায়ের খুব আগ্রহের বিষয় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে এজন্য যে, আগামী দুই বছর পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ফলাফল থেকে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো একটি বার্তা পাবে যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সরকার কতটা দক্ষতা ও সফলতার সাথে দেশ পরিচালনা করছে। নারায়ণগঞ্জের ভোটারদের রায় থেকে সরকারের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নের প্রতিফলন থাকবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিকল্প কোন রাজনৈতিক শক্তির সন্ধান দেশের জনগণ করছে তার একটি এসিড টেস্ট হিসেবেও বিবেচিত হবে এই নির্বাচন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সক্ষম হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সব রাজনৈতিক দলের আস্থা তৈরি হবে। এরফলে আগামী নির্বাচনও সর্বমহলে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.