× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি: বারবার উৎপাদনে ব্যাঘাত কাম্য নয়

সম্পাদকীয়

০৮ মে ২০২২, ১২:২২ পিএম

প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে পাথর উৎপাদন বারবার ব্যাহত হচ্ছে। ২০০৭ সালে মধ্যপাড়া পাথর খনিতে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। এর আগে বিস্ফোরকের অভাবে প্রথম ২০১৪ সালে ২২ দিন, ২০১৫ সালে দুই মাস, ২০১৮ সালের জুন মাসে সাতদিন ও ২০২২ সালের মার্চ মাসে ১৪ দিন উৎপাদন বন্ধ ছিল।

জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী খনির উন্নয়ন, উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চাহিদামতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বিস্ফোরক সরবরাহ করার কথা খনি কর্তৃপক্ষের। কিন্তু খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে (জিটিসি) চুক্তির আওতায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক সরবরাহ করতে না পারায় খনির উন্নয়ন ও পাথর উৎপাদন কাজ বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এখন পাথর উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক (অ্যামালসন এক্সপোসিভ) সংকটে পঞ্চমবারের মতো উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

এতে প্রতিদিন সরকারের লোকসান হচ্ছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। গত রোববার সকাল থেকে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ পাথর উৎপাদন ও উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) সংকটে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে পাথর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় খনি কর্তৃপক্ষ (এমজিএমসিএল) বলেছিল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পরিবহন সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিস্ফোরক আমদানিতে বিলম্ব হয়েছিল। কিন্তু এবার কেউ কথা বলছেন না বলে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়।

জানা যায়, পাথর উত্তোলন কাজের জন্য অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অ্যামালসন এক্সপোসিভ অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান। চুক্তি অনুযায়ী খনি কর্তৃপক্ষ সময়মতো জিটিসিকে চাহিদা মাফিক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অ্যামালসন এক্সপোসিভ সরবরাহ করবে। কিন্তু গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে খনি কর্তৃপক্ষ জিটিসিকে চুক্তি মোতাবেক সময়মতো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও অ্যামালসন এক্সপোসিভ সরবরাহ করতে পারেনি।

এবার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সরবরাহ থাকলেও অ্যামালসন এক্সপোসিভের সরবরাহ নেই। খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তাগাদা সত্বেও যথাযথ সহযোগিতার অভাবে বর্তমান এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। সময়মতো বিস্ফোরক সরবরাহ না করায় দৈনিক গড়ে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন সরকারের লোকসান হচ্ছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারি উন্নয়ন কাজে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পাথর সংকটে পড়ে চলমান নির্মাণ কাজ ব্যাহত হবে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

অন্যদিকে, পাথর আমদানি করে সংকট মোকাবিলা করতে গেলেও সরকারের বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হবে। কবে নাগাদ আমদানি করা এই বিস্ফোরক দেশে এসে পৌঁছাবে এর সঠিক কোনো দিনক্ষণও বলতে পারছে না খনি কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে এসব বিস্ফোরক আমদানি করা হয়। তবে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পরিবহন সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বিস্ফোরক আমদানিতে বিলম্ব হচ্ছে।

এ মাসের শেষ সপ্তাহ নাগাদ বিস্ফোরকের একটি চালান বাংলাদেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা করা হচ্ছে। খনির একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাথর উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত বিস্ফোরকের (অ্যামালসন এক্সপোসিভ) অভাবে গত ১ মে থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এরইমধ্যে বিস্ফোরক আমদানি করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসের শেষের দিকে বিস্ফোরক আসবে। উত্তোলন বন্ধ থাকায় কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে যেসব পাথর মজুত রয়েছে সেসব বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে খনি অভ্যন্তরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পাথর মজুত রয়েছে।

এর মধ্যে যদি উৎপাদন শুরু করা না যায় তাহলে সরবারহে সংকট দেখা দেবে। এমতাবস্থায় আমরা চাই, মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। পাশাপাশি বারবার যে কারণে এই সমস্য সৃষ্টি হচ্ছে তা দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.