'তুচ্ছ'
ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও কাজী
নজরুল ইসলাম হলের ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী
বলে জানা গেছে।
শুক্রবার
(২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ মারামারির ঘটনা
ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, কুবি শাখা
ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের আব্দুল্লাহ করিম শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও বিজনেস
স্টাডিজ অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান রাফিকে বন্ধুসুলভভাবে পিঠে থাপ্পড় মেরে কেমন আছে জিগ্যেস করে। এর কিছুক্ষণ পর
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে আব্দুল্লাহ করিমকে পেয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে দত্ত হলের রাফি। এতে কথাকাটাকাটি হয় দুই জনের
মধ্যে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পার্শবর্তী খাবার দোকানে রাতের খাবার খেতে গিয়ে আবারো দুই পক্ষ মুখোমুখি হন। সে সময় তাদের
মধ্যে মারামারি হয়।
এ
বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের আব্দুল্লাহ করিম ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ
দত্ত হলের রাফিকে ফোন দেয়া হলে কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
দুই
পক্ষকে নিয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক
রেজাউল ইসলাম মাজেদ সমঝোতা আলোচনা করেন।
এ
ব্যাপারে ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছি। তারা যেহেতু একই ব্যাচের সেহেতু তাদের মিলিয়ে দিয়েছি। এবং দুই হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে এ ব্যাপারে সতর্ক
করেছি। তারা যদি হলের ছেলেদের মেইনটেইন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা
এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
দুপক্ষকে
নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকার সময় বাইরে থেকে মারার আওয়াজ শোনা গিয়েছিল। এ ব্যাপারে সভাপতি
ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, না, মারার কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা দুই জনকে মিলিয়ে দিয়েছি শুধু।
এ
ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি ঘটনাটা সম্পর্কে অবগত আছি। ঘটনাটি মিটমাট হয়ে গেছে তাই আমরা কোন ব্যবস্থার দিকে আগাচ্ছি না। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিব।