নব্বইয়ের দশকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি, বাস্তব জীবনেও যাদের ২৭ বছরের দাম্পত্য; সেই ওমর সানী-মৌসুমীর সংসারে বাজছে ভাঙনের সুর।
সানী-মৌসুমীর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে জোরাল হয়েছে প্রায় তিন দশক ধরে অনেকের কাছে আইকন এই দম্পতির সম্পর্ক-ছেদের গুঞ্জন। সানী জানান, সংসার টিকে থাকবে কিনা- তা নিয়ে আর ভাবছেন না।
সংসারে ভাঙন ধরানোর নেপথ্যে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে দায়ী করছেন ওমর সানী। তিনি বলেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে মৌসুমীর সঙ্গে একই ছাদের নিচে থেকেও কোনো কথা হয়নি দুজনের।
অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে গত শুক্রবার রাতে জায়েদ খানকে সানীর চড় মারার খবর আলোচনার জন্ম দেয় দেশজুড়ে। সানীর অভিযোগ, চার মাস ধরে মৌসুমীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন জায়েদ। সেই সঙ্গে চলছিল সানী-মৌসুমীর ঘর ভাঙার চেষ্টা।
এর জের ধরেই ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজের ক্ষোভ দমাতে পারেননি সানী। তার অভিযোগ, চড় মারার পর জায়েদ খান পিস্তল বের করে তাকে হত্যার হুমকি দেন। অবশ্য এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করছেন জায়েদ খান।
এখানেই থামেনি ঘটনার জের। জায়েদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রোববার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে জমা দেন সানী।
এর পর দিনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক অডিও বার্তায় জায়েদের পাশে দাঁড়ান মৌসুমী। আলোচিত এই অভিনেত্রীর দাবি, জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সানীর তোলা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। জায়েদ খানকে ‘ভালো ছেলে’ হিসেবেও দাবি করেন মৌসুমী।
মৌসুমীর এমন বক্তব্যের পর আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। স্ত্রীকে নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও সানী সাংবাদিকদের সাফ জানিয়ে দেন, তিনি তার আগের অবস্থানেই অটল। তাদের সংসারে ভাঙনের জন্য পুরো দায় জায়েদ খানের।
মৌসুমীর বক্তব্যের পরপরই ওমর সানীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যে কথাগুলো বলেছিলাম জায়েদ খান সম্পর্কে, ওই জায়গায় আমি একদমই অটল।
‘মৌসুমী কথা বলেছে, এটা আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে আমি কোনো নেগেটিভ কথা, তাকে অসম্মান করে কোনো কথাই বলব না। সে আমার স্ত্রী, সো আমার ফ্যামিলির প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভক্তি আছে। আমার সম্মানবোধ আছে।’
এই জটিলতায় সংসার ঝুঁকিতে পড়েছে কিনা এমন সানী বলেন, ‘আমাদের (মৌসুমীর সঙ্গে) দেখা হয় না, কথা হয় না দীর্ঘদিন। অভিমান চলছে তার মানে এই নয় সব শেষ হয়ে গেছে।’
‘সানী-মৌসুমীর সংসারে কি ভেঙে যাচ্ছে’- এমন সরাসরি প্রশ্নে সানীর জবাব, ‘এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। ভক্তরা দোয়া করলেই হবে।
‘এত কিছু চিন্তা করার টাইম নাই। এত কিছু চিন্তা করতে গেলে মানুষ পাগল হয়ে যাবে। দরকার নাই।’
জটিলতার বিষয়টি ওমর সানী-মৌসুমী দম্পতির সন্তান ফারদিন ও ফইজাও জানে বলে উল্লেখ করেন সানী।